আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনিবার বৃটেনের সমারসেটের একটি বিচে নিজের দুই পোষা কুকুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন জন গপসিল। হঠাৎ তাকে থামতে হলো। তিনি দেখলেন তার কুকুররা সৈকতের মাটিতে কীসের যেন গন্ধ শুঁকছে। কিছুক্ষণ পর কুকুরগুলো মাটির নিচ থেকে একটা হাড় খুঁজে পেল। পরে জানা গেল, সেটি সাড়ে ৫ ফুট লম্বা একটি প্রাণীর ফসিল, সম্প্রতি ঝড়ে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার পর ওই ফসিল মাটির নিচ থেকে বের হয়ে এসেছে।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের আর্থ সায়েন্সেস ডিপার্টমেন্টের কিউরেটর জন গপসিল একজন সৌখিন প্রত্নতত্ত্ববিদ। তিনি দাবী করেছেন এই ফসিল ৬৫ মিলিয়ন বছর পুরোনো সামুদ্রিক প্রাণী ইকথিওসোরের।
এই অনুসন্ধানের কথা জানাতে গিয়ে গপসিল বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই আমি বিচে হাঁটতে যাই কুকুরদের নিয়ে। সেদিন কুকুরগুলো যখন জিনিসটা খুঁজে পেল, তখন তা দেখেই বুঝলাম, এটি প্রাচীন কোনো সামুদ্রিক প্রাণীর ফসিল। ইকথিওসোর হতে পারে। এটি দেখে আমি খুব বিস্মিত হলাম। মিউজিয়ামে রাখার কোনো কিছু পেয়েছি বুঝতে পারলাম। সত্যি খুব বিস্ময়কর যে লাখ লাখ বছর ধরে এটি সেখানে ছিল, যা এখন আমরা দেখার সুযোগ পাচ্ছি।’
এ ঘটনার পরদিনও সৈকতে একটি প্রাচীন পাথর খুঁজে পায় গপসিলের এক কুকুর। এমনকি সেই পাথরটা মুখে নিয়ে তার কাছে এনে দিয়েছিল কুকুরটা। বিষয়টা খুব চমকপ্রদ উল্লেখ করে গপসিল জানান, তিনি সব সময় প্রাচীন কিছু খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে থাকেন। তার মতে, তার দুই কুকুর-পপি ও স্যামও এই অভ্যাসটা রপ্ত করেছে। গত বছর সমারসেটের লিলস্টক গ্রামে বিশাল এক ইকথিওসোরের হাড়ের সন্ধান পায় বিজ্ঞানীরা, সেটি নাকি ২৩৫ বা ২০০ মিলিয়ন বছর পুরোনো।
ইকথিওসোর প্রাচীন সামুদ্রিক প্রাণী, যেগুলো ৬-১৩ ফুট লম্বা হতো, দেখতে কিছুটা এখনকার ডলফিনের মতো ছিল সেগুলো। এই প্রাণীগুলোকে সাঁতার কাটা ডাইনোসর হিসেবে কেউ কেউ ভুল আখ্যা দিতো। তবে প্রকৃতপক্ষে ডাইনোসর আগমনেরও আগে পৃথিবীতে ছিল এই প্রাণী। সবচেয়ে বড় ইকথিওসোর ৬৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।