কুবি প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, আবাসিক হলের প্রাধক্ষ্যসহ মোট নয়জন পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল রবিবার (১১ আগস্ট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান, অমিত পলাশ, আবু ওবায়দা রাহিদ,শারমিন সুলতানা, শেখ হাসিনা হলের প্রাধাক্ষ্য অধ্যাপক ড. মেহের নিগার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধাক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী, নওয়াব ফয়জুননেসা আবাসিক হলের শিক্ষক কাশমী সুলতানা পদত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রেরিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে এই পত্রের মাধ্যমে অদ্য অপরাহ্ণে পদত্যাগ করিতে আপনার নিকট পদত্যাগপত্র পেশ করিলাম। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক এই কামনা করছি। অন্যরা সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১০ এর (৩) ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূন্য হইলে কিংবা ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নব-নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ভাইস-চ্যান্সেলর পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত চ্যান্সেলরের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে [প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর], ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।