মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম সরকারকে বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তিনি স্থানীয় আকবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। সমকালের প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত-
সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মুরাদনগরের পীর কাশিমপুর গ্রামের একটি মসজিদের নিকট থেকে তাকে আটকের অভিযোগ করেন পরিবার ও দলের নেতারা। রাতে এ ঘটনা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠে তাকে কালো গাড়িতে সাদা পোশাকের লোকজন উঠিয়ে নেওয়ার।
তবে আজ সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারে ২৫ নম্বরে ওই বিএনপির নেতার নাম আছে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। এর আগে গত ৩ জুলাই মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামের কিছু লোক কুপিয়ে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করে।
তারা হলেন, রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি ও ছেলে রাসেল। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনকে এজাহারনামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঙ্গরাবাজার থানা মামলা দায়ের করেন।
ডিবি জানিয়েছে, এ মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
বিএনপি নেতা শাহ আলমের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার মুন্না বলেন, নামাজে যাওয়ার সময় পীর কাশিমপুর গুলশানে চিশতিয়া মসজিদের সামনে থেকে বাবাকে তুলে নেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থানায় খোঁজখবর নিয়েও কোনো তথ্য পাইনি। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবা ডিবি অফিস থেকে একজনের মোবাইল দিয়ে কল করে ডিবি পুলিশ তাকে আটকের কথা জানায়।
মুন্না আরও বলেন, সকালে ডিবি অফিসে এসে অপেক্ষা করছি। বাবাকে সম্প্রতি এলাকার ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর হচ্ছে বলে শুনেছি। এ মামলার এজাহারের ২৫ নম্বরে থাকা যে শাহ আলম আছে তার বয়স ৪৫ ও পিতা অজ্ঞাত উল্লেখ আছে।
মুন্নার ভাষ্য, আমার বড় বোনের বয়স ৪০। আমার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বয়স ও বিস্তারিত পরিচয় এলাকার সবাই জানে। তিনি বলেন, কেউ তিনটা হত্যার করে এলাকায় অবস্থানের কথা নয়। এছাড়াও গ্রামে ৮-১০ জন শাহ আলম রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি তার বাবার মুক্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, শাহ আলম সরকার একজন উপজেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা, যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা প্রকাশ্যে হয়েছে। তিনি (শাহ আলম) এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলেও তাকে এ মামলায় জড়িত করা হচ্ছে। তিনি তার মুক্তি দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।