জুমবাংলা ডেস্ক : ২০১৯ সালে কুমিল্লায় ৫৭ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এইডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪১০ জনে দাঁড়াল। তবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার কুমিল্লায় এইডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ আয়োজিত এক সভায় এসব কথা জানিয়েছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতাই পারে এইডসের ভয়াবহতা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে। এইডস প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
সুইয়ের মাধ্যমে মাদকসেবীরা এইচআইভি ভাইরাস গ্রহণ করে এইডসে আক্রান্ত হয় বলে সভায় জানানো হয়। সভার শুরুতে সারাদেশে এবং কুমিল্লায় সুইয়ের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ ও এইডসে আক্রান্তদের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

সভায় জানানো হয়, কুমিল্লায় ১৯৮৯ থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১০ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৯ সালে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ জন। যা আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি। কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়মিত চিকিৎসা নেন ১৭৪ জন রো। এর মধ্য চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ হাজারের অধিক ব্যক্তি সুইয়ের মাধ্যমে মাদক সেবন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, এইডসের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতে হবে, সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরিবারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সন্তানরা যেন মাদকের দিকে ধাবিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেলুন, পার্লার, ওটি যেন সবসময় পরিষ্কার থাকে। এক ব্লেড বা সুই যেন একাধিক ব্যক্তির কাজে ব্যবহার না হয়। প্রয়োজনে সেলুন ও পার্লারের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করব আমরা।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপপরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহবুবুল হক, ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মেডিকেল কর্মকর্তা সৌমেন রায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



