কামাল আতাতুর্ক মিসেল, বাসস: আর মাত্র এক দিন বাকি। তার পরেই কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে কুমিল্লার পশুহাটে গরু-ছাগলের বিক্রি বেড়েছে। জমে উঠেছে হাট। কুমিল্লার হাটগুলোতে শেষ সময়ে কাটতি বেড়েছে মাঝারি আকারের দেশী গরুর।
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার প্রতিটি উপজেলায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এসব উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে গরু বেশিরভাগই বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খামারি পর্যায়ে গরু বিক্রি করে শেষ করেছেন খামারিরা। কোরবানির শেষ মূহুর্তে হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বাড়তে থাকে।
কুমিল্লার বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাটে গরুর আমদানি গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবে স্থানীয় বিক্রেতা ও ক্রেতারা বেশ ভালো দামেই গরু কেনা-বেঁচা করতে পেরেছেন। শেষ মুর্হুতে গরুর চাহিদা ও আমদানি দুটোই বেড়েছে। বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে মাঝারি আকারের গরু। সাড়ে তিন মণ থেকে সাড়ে ৪ মণের গরু হাটের চাহিদার শীর্ষে দেখা গেছে।
কুমিল্লার বিবির বাজার, নেউরা, চৌয়ারা, শাহপুর সুবর্ণপুর, বাজ গড্ডা বাজার, বালুতুপা, চানপুর, আমড়াতলী বাজার এবং ময়নামতি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাটে দেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর প্রতি আকর্ষণ বেশি।
কুমিল্লার বিবির বাজারের গরুর হাটে কথা হয় ব্যাংকার ফারুক আজমের সাথে। তিনি জানান, হাটে প্রচুর গরু রয়েছে। দামও মোটামোটি নাগালে রয়েছে। শহরের বালুতুপা গরুর হাটে গরু ক্রয় করতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, কোরবানির জন্য ২টা গরু ক্রয় করার ইচ্ছা আছে। তবে মাঝারি সাইজের দেশি গরু কিনার ইচ্ছা। দেড় বা ১ লাখ ৬০ হাজারের মধ্যে কিনার ইচ্ছা।
চৌয়ারা গরু বাজারের গরু বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, চৌয়ারা বাজারে আমি মোট ২২টি গরু এনেছি। তার মধ্য বড় গরু ৩টি এবং মাঝারি গরু ১৪টি এবং ৫টি ছোট গরু রয়েছে। তিনি বলেন, বড় গরুগুলোর প্রতি ক্রেতার চাহিদা কম। ইতিমধ্যে মাঝারি সাইজের ১৪ টি গরু বিক্রি করেছি। কিন্তু বড় গরুর দাম পর্যন্ত কেউ জিজ্ঞেস করছে না।
চৌয়ারা গরু হাট ইজারাদার সহিদ মিয়া বাসসকে বলেন, ঈদের শেষ মুহুর্তে হাটে গরুর আমদানি চোখে পড়ার মতো। বেঁচা-বিক্রিও ভালোই হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের কিছু ক্রেতা দেখেশুনে ছোট গরু কিনছেন। হাট বেশ ভালো জমে ওঠেছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সহিদুর রহমান বাসসকে বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লার পশুর হাট গুলোতে পুলিশের বিশেষ ফোর্স গাড়ি দিয়ে টহল দিচ্ছে। এছাড়াও কৃষক ও খামারিরা যাতে কোরবানির পশুর ন্যায্য দাম পান সে জন্য কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজর রেখেছে। জাল টাকা চিহ্নিত করার জন্য পশুর হাট গুলোতে জাল টাকা সনাক্তকরণের মেশিন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।