সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৩২ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে এমএসসির সালিম সাদমান এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন। ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২৩ ব্যাচের ওমর বিন হোসাইন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২১ ব্যাচের শান্ত ইসলাম ও মো. রিদয়, এবং ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২২ ব্যাচের সাফওয়ান আহমেদ ইফাজ।
ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক বি এম ইকরামুল হক জানিয়েছেন, মোট ৫ শিক্ষার্থী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং ৩২ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর ১৯ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হলেও আন্দোলনের জেরে তা ২৩ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রো-ভিসি অপসারণ এবং ২৪ জুলাই কুয়েটের নতুন ভিসি নিয়োগের পর দীর্ঘ ১৬০ দিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে ২৯ জুলাই আবার একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।