জুমবাংলা ডেস্ক: কুষ্টিয়ার ইবি থানার ফরিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। খবর ইউএনবি’র।
সোমবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এই রায় দেন। এসময় মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুষ্টিয়ার ইবি থানা বানিয়াপাড়া গ্রামের নফছের আলীর ছেলে জগো আলী (পলাতক) এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বদর উদ্দিনের পুত্র ইলাম মন্ডল ওরফে কালু (পলাতক), বৃত্তিপাড়া গ্রামের মনোয়ার মন্ডলের পুত্র শহিদুল, গজনবীপুরের ফকির মন্ডলের পুত্র বাদশা মন্ডল (পলাতক), দেড়িপাড়া গ্রামের তয়াক্কেল জোয়াদ্দারের পুত্র আলিম জোয়াদ্দার, বারুইপাড়া গ্রামের আফাজ সদ্দারের পুত্র আমিরুল ইসলাম, উজানগ্রামের মোনাউল্লার পুত্র বাবলু (পলাতক), তাইজাল আলীর পুত্র সাইদুল, ইজ্জত আলীর পুত্র মিজানুর রহমান, ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন, মজিদ মন্ডলের পুত্র আসাদুল এবং সামসুল আলীর পুত্র ইউনুছ আলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর চরমপন্থী সন্ত্রাসী ফরিদুলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে মানিক মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে।
পরে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ফরিদুলের সহযোগী জগোসহ অন্য সন্ত্রাসীদের সাথে ফরিদুলের বিরোধ বাধে। এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহযোগীরা ফরিদুলের মাথা কেটে তাকে হত্যা করে এবং তার মাথা ইবি থানার বারুইপাড়া গ্রামের একটি ব্রিজের ওপর রেখে দেয়।
পরে পুলিশ এসে ওই কাটা মাথা উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন এবং শুনানি শেষে সোমবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন। রায়ের পর আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ মামলায় রানা হোসেন এবং বেলি খাতুন নামের দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমান।
তারা দুজনেই পলাতক রয়েছেন।
