জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটে পাঁচ কেজি মুলা ১০ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষকরা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি মুলার দাম পড়েছে দুই টাকা।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। মুলার দাম না পাওয়ায় হতাশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
যাত্রাপুরের ঘনেশ্যামপুর, গারুহাড়া, ধরলার পাড়, উত্তর ঘনেশ্যামপুর এলাকা থেকে মুলা বিক্রির জন্য যাত্রাপুর হাটে আসেন কৃষকরা।
এবার সবজি উৎপাদন বেশি হওয়ায় যাত্রাপুর হাটে ক্রেতা কম। পাশাপাশি করোনার কারণে হাটে কমে গেছে ক্রেতাদের আগমন।
এখন আলু, বেগুন, পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও মুলাসহ অনান্য সবজির ক্রেতা নেই বললেই চলে। ক্রেতার অভাবে প্রতি কেজি মুলা দুই টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৫৪০ হেক্টর জমিতে শাক- সবজির চাষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির চাষ বেশি হওয়ায় দাম কম।
গারুহাড়া এলাকা থেকে যাত্রাপুর হাটে মুলা বিক্রি করতে আসা রফিক বলেন, চার হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬ শতক জমিতে মুলার চাষ করছি। আজ প্রথম হাটে মুলা বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। বাজারে মুলা বিক্রি করতে এসে বিপাকে পড়েছি। ক্রেতা না থাকায় দুই টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি করেছি।
একই এলাকার কৃষক নুর ইসলাম বলেন, প্রথমে মুলার দাম ভালো ছিল। এখন বাজারে মুলা অনেক বেশি। সেই হিসেবে ক্রেতা কম। এ কারণে মুলার দাম কম। তবে আমরা মুলা চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, এবার কৃষি অফিস থেকে প্রায় প্রত্যেক কৃষককে বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজির বীজ দেয়া হয়েছে। কিছু এনজিও কৃষকদের শাক-সবজির বীজ দিয়েছে। ফলে কৃষকরা শাক-সবজি চাষ করেছেন বেশি। উৎপাদন বেশি হওয়ায় ক্রেতার সঙ্কট। ফলে মুলা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, শহরে তো বিভিন্ন সবজির দাম ভালোই আছে। তবে ওই এলাকার কৃষকরা ঠিকমতো বাজারজাত করতে না পারায় কম দামে বিক্রি করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।