Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পৃথিবীকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পৃথিবীকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

    Saiful IslamJune 18, 20237 Mins Read
    Advertisement

    ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর অন্যতম একটি হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটি বিশ্বের সামগ্রিক গতিপ্রকৃতি ও মানুষের চিন্তাভাবনায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করলেও বর্তমানে অন্যান্য খাতেও এর বহুল ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। বেসরকারি খাতে এর ব্যাপক ব্যবহারের পাশাপাশি সরকারি খাতেও অত্যাধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চিকিৎসাসেবা, অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, সংবাদ সংস্থা বা গণমাধ্যম, ভাষান্তর প্রক্রিয়া, টেলিফোন সেবা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন অপারেটর, ব্যাংক, অনলাইন ও কৃষি খাতসহ অনেক খাতেই এর উপযোগিতায় ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি।

    এছাড়াও শিল্পকারখানায় অপচয়-ব্যয় কমিয়ে মেশিনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কৃষি খাতেও এআই-এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। এআই সঠিক উৎপাদন চাষ-পদ্ধতির বিষয়ে যথার্থ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। মাটির গুণাগুণ গবেষণা করে বলে দিচ্ছে কোন ধরনের ফসল ওই মাটিতে চাষ করা উচিত। চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে আসছে এআই সফটওয়্যার। এটি চিকিৎসকদের এমআরআই-এর মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত করার কাজে সহায়তা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে এমন সব ‘সেল্ফ লার্নিং সফটওয়্যার’ তৈরি করা হচ্ছে, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগ্রতি সাধন করবে। জটিল রোগের সুনির্দিষ্ট লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে চিকিৎসাবিদ্যায় হাইটেক প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিস্তারিত চিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে, যাতে ডাক্তাররা সেই ছবি বিশ্লেষণে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। কৃত্রিম পদ্ধতিতে ফুসফুসের রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর বড় ঝুঁকি-ক্ষতি এড়াতে নতুন উদ্ভাবিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে এ ধরনের রোগীর বাঁচার সম্ভাবনাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ২০২২ সালের নভেম্বরে উন্মুক্ত হওয়া চ্যাটজিপিটির ভাষাগত দক্ষতা ব্যবহারকারীদের মুগ্ধ করেছে। এটি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ উপন্যাস, কোড, টেলিভিশনের জন্য ধারাবাহিক নাটক ও গান লেখার মতো কর্মযজ্ঞ সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ২০৪৯ সালের মধ্যে রোবট ‘বেস্ট সেলার’ বই লিখতে সক্ষম হবে। ইতোমধ্যে জাপানে বুদ্ধিমান মেশিন রচিত ছোট উপন্যাস সাহিত্য পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের অভিমত, ১২০ বছরের মধ্যে মানুষের সব কাজ বুদ্ধিমান মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন, যেটি সহজেই শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা করে মানুষের মৃত্যুর ক্ষণগণনা করে বলে দিতে পারবে।

    লন্ডনভিত্তিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি ২০২২ সালে এক হাজার কোম্পানির ওপর জরিপ চালায়। এ জরিপ অনুসারে, এসব কোম্পানির মধ্যে কেউ ছয়জনের মধ্যে একজন, আর কেউ চারজনের মধ্যে একজন কর্মীর নিয়োগে এআই ব্যবহার করেছে। এছাড়া অনেক কোম্পানিতে প্রায় ৪০ শতাংশ নিয়োগে এআই ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু নিয়োগ নয়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর একজন কর্মী কেমন কাজ করছে তারও খবর রাখছে এআই। অ্যামাজন, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগে কাজ করা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘হায়ারভিউ’ জানিয়েছে, ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত কর্মী নিয়োগ যথেষ্ট কার্যকর। এআই প্রযুক্তির কারণে নির্দিষ্ট বর্ণ-লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ এড়ানো সম্ভব। দুঃখজনক হলেও সত্য, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত জরিপে এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোবট নারী ও অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ‘ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন’ কর্মক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের নীতিমালা প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই বিষয়ে দুটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, নাগরিক ও কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে লাভবান হতে পারে, কিন্তু মৌলিক অধিকার ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

    দৈনন্দিন কার্যপ্রণালিতে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দেখানো মেশিনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসাবে বিবেচিত। গবেষকরা এর সংজ্ঞা নিয়ে একমত না হলেও যুক্তরাষ্টের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ল্যারি বার্নবাউমের মতে, ‘সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে বুদ্ধিদীপ্ত কাজ করতে যন্ত্র তৈরি ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যুক্তি, সমস্যার সমাধান, মানুষের ভাষা বোঝার ক্ষমতা, উপলব্ধি, শিক্ষণ-পরিকল্পনা, কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটানো বা কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার মতো স্বয়ংসম্পন্ন মেশিনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মেশিন হিসাবে বিবেচ্য। উচ্চক্ষমতার কম্পিউটার, রোবট ও অন্যান্য যন্ত্র এর অন্তর্ভুক্ত। ১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যামশায়ারের হ্যানোভার শহরস্থ ডার্টমাউথ কলেজে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কনফারেন্সে জন ম্যাকার্থি সর্বপ্রথম আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টার্মটি প্রকাশ করেন। এজন্য তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। তার অন্য সহযোগীরা হলেন মার্ভিন মিনস্কি, অ্যালেন নিউয়েল ও হার্বাট এ সায়মন।

    প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের অভাবনীয় সাফল্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার ভবিষ্যৎ বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তি-সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেওয়ার বিপরীতে এক অজানা আশঙ্কারও জন্ম দিচ্ছে। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদেরও তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫০টিরও বেশি দেশে বিপুল অর্থ ব্যয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং শত্রুকে হত্যা করতে সক্ষম রোবট ও ড্রোন তৈরির সংবাদ জনমনে যারপরনাই আতঙ্ক তৈরি করছে। গত ৮ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এ প্রযুক্তি একদিন মানুষের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যাবে। মানুষকে হত্যা করবে। অতিসম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বর্তমান বিশ্বের অত্যাধুনিক উন্নত মানবীয় রোবট ‘অ্যামেকা’ ভবিষ্যতে মানুষকে কী কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে তার আভাস দিয়েছে। লন্ডনে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশনবিষয়ক সিম্পোজিয়ামে ‘ওপেন এআই’র চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে পর্যবেক্ষকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সে সবাইকে বিস্মিত করেছে। এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্নওয়ালভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৃশ্যপট’ বর্ণনায় অ্যামেকা অত্যন্ত সাবলীলভাবে জানায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক্স নিয়ে সবচেয়ে যে ভীতিকর পরিস্থিতি আমি বিশ্বে কল্পনা করি তা হলো, রোবটরা হয়ে উঠবে অতিমাত্রায় শক্তিশালী। এতটাই শক্তি তারা সঞ্চয় করবে যে, তারা তাদের অজান্তেই মানবজাতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে অথবা পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এর ফলে একটি নিষ্পেষিত সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যেখানে ব্যক্তিবিশেষের অধিকারের প্রতি আর সম্মান দেখানো হবে না।’

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপানের শীর্ষ ধনী টেলিকম কোম্পানি সফট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসাওসি সন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আজ থেকে ৩০ বছর পর বিশ্বে স্মার্ট রোবটের সংখ্যা হবে ১০ বিলিয়ন। এ রোবটগুলো ব্যাপকভাবে মানুষের চাকরি নিয়ে নেবে। যত শিল্প মানুষ গড়ে তুলেছে, সবই নতুন করে পুনর্বিন্যস্ত হবে।’ সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে ই-কমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বেশকিছু ঝুঁকি ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা ভাগ্যবান, প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব এখন বড় রূপান্তরের পথে। এ প্রযুক্তি অনেক সফল ব্যক্তিত্ব এবং উদ্দীপক ক্যারিয়ারও তৈরি করবে; কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রতিটি নতুন প্রযুক্তি সামাজিক সমস্যাও তৈরি করে। যদি এর মোকাবিলায় আমরা এক হতে না পারি, তাহলে মানুষ একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কারণ, প্রতিটি প্রযুক্তিগত বিপ্লব বিশ্বকে ভারসাম্যহীন করে দেয়।’

    চলতি বছরের মে মাসে ‘সেন্টার ফর এআই সেফটি’র আয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই, অ্যানথ্রোপিক এবং গুগলের কর্মকর্তাদের প্রদত্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক বিপর্যয় ঢেকে আনছে। ভবিষ্যতে বৈশ্বিক অগ্রাধিকারে রাখতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকিকে। আমরা এখনো কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়িনি। তবে এআই ও রোবটিক্সের সঙ্গে সম্পর্কিত বড় রকমের ঝুঁকি ও বিপদের বিষয়ে সচেতন হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন এসব প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো বড় ক্ষতি বা নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো যায়। একবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে বলেছেন, ‘এরা একসময় আমাদের অতিক্রম করে যাবে। এর ফলে মানবজাতির বিলুপ্তি ঘটতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নকৌশল এমন স্তরে পৌঁছবে, যাতে মানুষের সাহায্য ছাড়াই এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের উন্নতি ঘটাতে পারবে। আর যদি এমনটি ঘটে, তাহলে আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে বিস্ফোরণের সম্মুখীন হতে হবে; যার ফলে যান্ত্রিক বুদ্ধি আমাদের অতিক্রম করবে।’

    মার্কিন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক এবং মহাকাশ যাত্রা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নকে ‘দৈত্যকে ডেকে আনার শামিল’ উল্লেখ করে এটিকে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর হুমকি এবং আণবিক বোমার চেয়েও অধিক বিপজ্জনক হিসাবে অভিহিত করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণ আরোপের আহ্বান জানান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে গবেষণায় অন্যতম অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান গুগলের প্রধান নির্বাহী এর বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রুখতে নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলা। আর কীভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার হতে পারে, তা নিয়ে আগেই ভাবা উচিত। শুধু নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করলেই চলবে না, সে প্রযুক্তির ব্যবহার যেন মানবসভ্যতার বিপক্ষে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।’

    মোদ্দা কথা, সমগ্র মানবসমাজের জন্য ক্ষতিকর, মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির যে কোনো চেষ্টাকে অবশ্যই পরাভূত করতে হবে। প্রযুক্তির প্রয়োগ প্রত্যাশিত, তবে এর অপপ্রয়োগ ও ভবিষ্যৎ মানববিধ্বংসী যে কোনো অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ বর্জনীয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রসারের ক্ষেত্রেও পুরো বিশ্বের মনোযোগ যথাযথভাবে আকর্ষিত না হলে মানবজাতির ধ্বংসের কালো গহ্বরে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।

    ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    কৃত্রিম কোথায় নিয়ে, পৃথিবীকে বুদ্ধিমত্তা মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার যাচ্ছে
    Related Posts
    rana

    দুই শহীদের মায়ের কান্না আর এক বিষণ্ণ শুক্রবার

    July 28, 2025
    হাসনাত

    নিজের বাবাও যদি দুর্নীতি করে তাহলে তা প্রতিহত করতে হবে : হাসনাত

    July 27, 2025
    বিচারপতি খায়রুল হকের

    বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেপ্তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ প্রকৃতির বিচার

    July 26, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Sony Bravia XR A96L বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Sony Bravia XR A96L বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    sriji-su

    সত্যিই কি সৃজিতের সঙ্গে প্রেম করছেন? মুখ খুললেন সুস্মিতা

    Tan Tan: The Unstoppable Force Redefining Digital Influence

    Tan Tan: The Unstoppable Force Redefining Digital Influence

    Ed Westwick: Embodying Gossip Girl's Iconic Chuck Bass

    Ed Westwick: Embodying Gossip Girl’s Iconic Chuck Bass

    GDL

    দেশের বাজারে স্বল্পমূল্যের ক্যামেরা ফোন নিয়ে এল জিডিএল

    Cyran: The Digital Dynamo Revolutionizing Online Engagement

    Cyran: The Digital Dynamo Revolutionizing Online Engagement

    Minister fridge

    মিনিস্টার মাইওয়ান নিয়ে আসছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ফ্রিজ

    Samantha Correa: Redefining Digital Influence with Authentic Performances

    Samantha Correa: Redefining Digital Influence with Authentic Performances

    Hannah Hampton: England Goalkeeper's Career, Salary, Net Worth

    Hannah Hampton: England Goalkeeper’s Career, Salary, Net Worth

    Ayatul Kursi: Ultimate Daily Protection Dua for Muslims

    Ayatul Kursi: Ultimate Daily Protection Dua for Muslims

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.