নকল সূর্য বা কৃত্রিম সূর্য কেন তৈরি করা হয় তা অনেকের কাছে পরিষ্কার নয়। তবে অবশ্য এটি আমাদের সূর্যের মতো নয়। এটিকে আকাশে বসানো হবে না এবং এর তাপ আমাদের গায়েও লাগবে না। নিউক্লিয় ফিউশন চুল্লিতে এটি তৈরি করা হয়।
এটার জন্য হাইড্রোজেন এবং ডিউটোরিয়াম এর বিক্রিয়া করানোর প্রয়োজন হয়। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব একটি প্রক্রিয়া। অনেক আগে থেকে এই পদ্ধতি নিয়ে কাজ চলছে। এবার পৃথিবীতে দশ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু বিজ্ঞানীরা।
এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ তাপমাত্রার এমন রেকর্ড করতে পারেনি। আগামী দুনিয়ায় পরিষ্কার জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার ফিউশন বা পারমাণবিক ফিউশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হতে পারে। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা এক ধাপ এগিয়ে গেছেন।
তারা দশ কোটি ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠাতে সক্ষম হয়েছে এবং অতীতের সকল রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হবে। ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতীতে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়তে সক্ষম হলেও তা সর্বোচ্চ স্থায়ী ছিল ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা ৪৮ সেকেন্ড পর্যন্ত তাপমাত্রা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। কৃত্রিম সূর্যের পারমাণবিক ফিউশন পরীক্ষার সময় এই তাপমাত্রা তৈরি করা হয়। এই তাপমাত্রার সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা 7 গুণ বা ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবি ভবিষ্যতে এমন সাফল্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে চীন, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের মতো দেশ কৃত্রিম সূর্য নিয়ে কাজ করছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় বিপুল পরিমাণ শক্তি।
মূলত নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বিশ্বাস করেন এভাবে জলবায়ু সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। কেননা এ শক্তি পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব। কার্বন দূষণ বাদ দিয়ে ফিউশন প্রক্রিয়ায় অনেক শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।