জুমবাংলা ডেস্ক: রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ি। আযানের সময় দু’জনের ঘুম ভাঙলে বাইরে যাই। পরে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমানোর কিছুক্ষণ পরেই ব্লেড দিয়ে ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে দেয় শরিফা। সঙ্গে সঙ্গে আমি জেগে উঠলে সে বলতে থাকে এখন কেমন লাগে? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী আপেল।
শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে ইউনিয়নের পাঠানটারীতে। গুরুতর আহত অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ভুক্তভোগী আপেল মিয়া। তিনি হেন্দ্রনগরের পাঠানটারীর ভ্যানচালক সাইফুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, ১১ বছর আগে শরিফা বেগমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় আপেলের। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ দুই মাস আগে শরিফা বাবার বাড়ি গিয়ে আর স্বামীর বাড়িতে আসতে চান না। কয়েক দিন আগে আপেলের বাবা-মা অনেক বুঝিয়ে শরিফা ঘরে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী আপেল বলেন, প্রতিদিনের মতো আমরা গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি। আযানের সময় দু’জনের একসঙ্গে ঘুম ভাঙলে বাইরে যাই। ও নামাজ পড়ার কথা বললে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমানোর কিছুক্ষণ পরেই ব্লেড দিয়ে পোচ মারার সঙ্গে সঙ্গে আমি জেগে উঠলে সে বলতে থাকে এখন কেমন লাগে?
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হামিদুল হক হিরু বলেন, রোগীর বিশেষ অঙ্গে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।