জুমবাংলা ডেস্ক : ক্রয়মূল্যে বিক্রির ধারণা আগে শহরে থাকলেও এখন ছড়িয়ে পড়ছে প্রান্তিক পর্যায়েও। দলবেঁধে তরুণ ও যুবকরা টেবিল নিয়ে বসে পড়ছেন বাজার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে। কেনা দরে বিক্রি করছেন শাক-সবজিসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। বাজার মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কম হওয়ায় গ্রামের গরীব ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন কিনতে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এমন দৃশ্য দেখা গেল চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে। তিনটি সামাজিক সংগঠন যৌথভাবে বিক্রি করছেন কম দামে শাক-সবজি। সংগঠন তিনটি হলো সুপ্রভাত বৈলতলী, ইয়ুথ ফাউন্ডেশন বৈলতলী ও বৈলতলী ছাত্র পরিষদ।
তাদের উদ্দেশ্যে বাজার কারসাজি ও সিন্ডিকেট ভাঙা এবং সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফেরানো। কাক ডাকা ভোরে বাজারে সবজি কিনতে আসে ক্রেতারা।
এই বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, মরিচ কেজি ১০০ টাকা, শাকের আটি ১২ টাকা, লাউ ২৫, ঝিঙ্গা ৪০, বেগুন ৪৫ ও আলু ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সুপ্রভাত বৈলতলী এর সাধারণ সম্পাদক আশেক মীর্জা বলেন আমরা, মার্কেট ও বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে আমরা সবজি বিক্রি করছি। একতাই পারে সকল ধরনের সিন্ডিকেট ভাঙতে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন সবাই নায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারে। সাধারণ ক্রেতাদেরও সচেতন হওয়া উচিত। যারা গ্রামে থাকেন তারাও চাইলে ছোট করে এমন কর্মসূচি নিতে পারেন। এতে এলাকার মানুষের কিছুটা হলেও উপকার হবে। আমরা নতুন করে কম মূল্যে বিক্রির শহরের ধারণাকে গ্রামেও ছড়িয়ে দিতে চাই।
ইয়ুথ ফাউন্ডেশন বৈলতলী সদস্য তাজউদ্দীন সিফাত বলেন, মানুষের নাভিশ্বাস। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিন্তু বেতন কিংবা মজুরি বাড়ে না। তাই সাধারণ মানুষ বড্ড কষ্টে আছে। এছাড়া বাজারে বড় বড় সিন্ডিকেট আছে। তা ভাঙতে আমাদোর এ আয়োজন।
বৈলতলী ছাত্র পরিষদের সদস্য রাকিব মীর্জা বলেন, তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সফলভাবে আমরা বিক্রি করছি। এই বাজারে এক ঘণ্টায় ২৭০০ ডিম ও ১০০০ কেজি সবজি ও শত বান্ডিল শাক বিক্রি হয়েছে।
দেশের চলমান মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ মানুষরা যাতে স্বল্প দামে সবজি কিনে খেতে পারে, সেজন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এতে তিন সংগঠনের আশেক এলাহি মুন্না, ফয়সাল মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, তাজউদ্দীন সিফাত, মোহাম্মদ রিয়াদ, মোহাম্মদ রাইয়ান, রাকিব মির্জা, মোহাম্মদ সাজ্জাদ, মোহাম্মদ মামুন ও মোহাম্মদ সাফায়েত, আশেক মির্জা, জনি বড়ুয়া, রাকিব রায়ান, মো. রিয়াদ, মোঃ জুয়েল, সাজ্জাদ হোসেন, মো. মামুনসহ ৫০ জনের বেশি সদস্য অংশ নেন।
কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যে উদ্যোগ নিচ্ছে তা দারুণ সাড়া ফেলছে। ফলে বাজারে কমছে পণ্যের দাম। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ধরাসায়ী হচ্ছে তরুণদের হাতে। তাদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিচ্ছে তরুণরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।