আম ভারতে গ্রীষ্মের একটি জনপ্রিয় খাবার, কিন্তু একটি জাত আছে যা বাকিদের থেকে আলাদা; এটি হলো মিয়াজাকি আম। জাপান থেকে আসা এই আমটি তার ব্যতিক্রমী স্বাদ, অনন্য চেহারা এবং প্রায় অবিশ্বাস্য মূল্যের জন্য উৎসাহী এবং অনুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। চলুন জেনে নেই কেন প্রতি কেজি মিয়াজাকি আম 2.5 লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় এবং কী তাদের এত বিশেষ করে তোলে।
মিয়াজাকি আম: অনন্য ব্র্যান্ড
মিয়াজাকি আম, যা তাইয়ো-নো-তামাগো (সূর্যের ডিম) নামেও পরিচিত, জাপানের কিউশু প্রদেশের মিয়াজাকি শহর থেকে উদ্ভূত একটি বিরল এবং মূল্যবান ফল। 1980-এর দশকে গবেষক এবং স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় বিকশিত, এই আমটি একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং অতুলনীয় মানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে।
মিয়াজাকি আমের অনন্য বৈশিষ্ট্য
- চেহারা: ঐতিহ্যবাহী আমের বিপরীতে, মিয়াজাকি আম পাকলে ডিমের মতো আকৃতি এবং উজ্জ্বল লাল রঙের ত্বক ধারণ করে, যা তাদের দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
- স্বাদ: তাদের অসাধারণ মিষ্টতা এবং রসালোতার জন্য বিখ্যাত এই মিয়াজাকি আম অন্য কোন আমের স্বাদের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
- চাষ: আদর্শ জলবায়ু পরিস্থিতি, উর্বর মাটি এবং বিশুদ্ধ পানির অ্যাক্সেস সহ একটি অঞ্চলে জন্মানো, মিয়াজাকি আম ফল উৎপাদনের জন্য অনুকূল পরিবেশে বৃদ্ধি পায়।
চাষ প্রক্রিয়া
মিয়াজাকি আম চাষ একটি শ্রম-নিবিড় প্রক্রিয়া যার জন্য বিশদ যত্ন এবং মনোযোগ প্রয়োজন। উৎকৃষ্ট আমের চারা নির্বাচন থেকে শুরু করে জিনগত বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য কলম তৈরির কৌশল ব্যবহার করা পর্যন্ত, প্রতিটি ফলের গুণমান নিশ্চিত করতে কৃষকরা কোনো প্রচেষ্টাই ছাড়েন না।
মিয়াজাকি আমের অত্যধিক দামের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ অবদান রাখে:
- অসাধারণ গুণ: জাপান সরকার কর্তৃক প্রযোজ্য কঠোর মানের মানের অধীনে জন্মানো, মিয়াজাকি আম উচ্চতর স্বাদ, চেহারা এবং টেক্সচার নিশ্চিত করার জন্য কঠোর মানদণ্ডের মধ্য দিয়ে যায়।
- হাতে বাছাই প্রক্রিয়া: প্রতিটি আম পাকা হওয়ার নিখুঁত সময়ে হাতে বাছাই করা হয়, যার ফলে এসব ফলের স্বাদ হয় অতুলনীয়।
- আদর্শ ক্রমবর্ধমান অবস্থা: সর্বোত্তম জলবায়ু এবং মাটির অবস্থা বিবেচনা করতে হয় এ ফল চাষ করার আগে। এজন্য ভারতের মাটিতে এটির ফলন ভালো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।