আমরা কি সূর্যের রং বুঝতে পারি? এর উত্তর একটু জটিল। সূর্যের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা ৫ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এর ফলে এটি সর্বোচ্চ বিকিরণ করে সবুজ রঙে। আমরা যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে থেকে সূর্যকে দেখি, তবে সেটি আমাদের চোখে সাদা বলে অনুভূত হবে; কারণ, সবুজ ছাড়াও সূর্য অন্যান্য দৃশ্যমান আলোতেও যথেষ্ট পরিমাণ বিকিরণ করে, যার ফলে আমাদের চোখের লাল, সবুজ ও নীল শঙ্কু (Cone) সেগুলো ধারণ করে আমাদের মস্তিষ্কে সাদার উপলব্ধি জন্মায়।
কিন্তু পৃথিবীর বুক থেকে দেখলে সূর্যের রং কিছুটা পাল্টায়, এর কারণ বায়ুমণ্ডল সূর্যের নীল আলোকে কিছুটা বিচ্ছুরিত করে। নীল রং কমে যাওয়ার ফলে সূর্যকে ঈষৎ হলুদ মনে হতে পারে। আবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নীল আরও কমে যাওয়ার ফলে সূর্যকে লাল দেখায়।
এবার আসি চাঁদের ব্যাপারে। চাঁদের উজ্জ্বলতা সূর্যের কারণে, চাঁদের পৃষ্ঠ সূর্যের প্রায় ১১ শতাংশ আলোকে প্রতিফলিত করতে পারে বলেই আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। চাঁদের রং আমরা বুঝতে পারি না, এ কথা ঠিক নয়। চাঁদ মূলত ধূসর বলা যায়।
যে অংশটা কালচে দেখায়, সেটি মূলত ব্যাসাল্ট লাভা দিয়ে তৈরি, একে আমরা মারিয়া (সমুদ্র) বলে থাকি, এই ব্যাসাল্ট সূর্যের আলো শোষণ করে নেয় বলেই তাকে কালো দেখায় (বহু শত বছর আগে মনে করা হতো চাঁদে সমুদ্র আছে)। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত উঁচু অংশের উজ্জ্বল অংশটি, যাকে টেরা বলা হয়, এমন সব পাথর দিয়ে তৈরি, যা কিনা সূর্যের আলোকে ধূসর রঙে প্রতিফলিত করে। চাঁদ মাথার ওপরে থাকলে, সূর্যের মতোই, বায়ুমণ্ডল নীল রংকে বিচ্ছুরণ করে তাকে কিছুটা অপসারিত করে, এর ফলে তাকে কিছুটা হলুদই দেখায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।