বিজ্ঞানীরা আমাদের মহাবিশ্বে অনাবিষ্কৃত ডার্ক ম্যাটারের সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হিসাবে ‘mirror universe’-এর সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছেন। এই থিওরিটি প্রস্তাব করে যে, ডার্ক ম্যাটার এমন অঞ্চলে বিদ্যমান যেখানে বিগ ব্যাং এর নিউক্লিওসিন্থেসিসের সময় পরমাণু গঠনে ব্যর্থ হয়।
ডার্ক ম্যাটার যা মহাবিশ্বের প্রায় 85% তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। এটির অদৃশ্যতা এবং সনাক্তকরণে নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভ্রান্তিতে আছে। আগের থিওরি এর প্রকৃতি পুরোপুরি ব্যাখ্যা করতে পারেনি। গবেষকরা বিকল্প ধারনা বিবেচনা করার ট্রাই করছে। এরকম একটি তত্ত্ব ‘dark mirror’ যেখানে ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করা থাকে।
আমাদের মহাবিশ্বের প্রতিটি মিথস্ক্রিয়া ডার্ক ম্যাটারের সাথে সর্ম্পক থাকবে। এটি এক নতুন ধরনের universal symmetry প্রতিষ্ঠা করবে। যদিও আমাদের মহাবিশ্বের প্রচলিত পদার্থ প্রোটন এবং নিউট্রন নিয়ে গঠিত যার ভর প্রায় সমান। ‘ডার্ক মিরর’ এ মহাবিশ্বের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে যা প্রোটনের পরিবর্তে ‘dark neutrons’ গঠনের দিকে পরিচালিত করে।
ধারণাটি প্রস্তাব করে যে এই ‘dark neutrons’ একটি অনুমানমূলক ‘ডার্ক বিগ ব্যাং নিউক্লিওসিন্থেসিস’ চলাকালীন আবদ্ধ অবস্থা এবং বৃহত্তর নিউক্লিয়াস গঠন বোঝায়। বিশুদ্ধ ‘dark neutrons’ দ্বারা গঠিত এই নিউক্লিয়াসগুলি ডার্ক ম্যাটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
‘dark periodic table’ নিয়ে পূর্ববর্তী গবেষণার উপর ভিত্তি করে ‘dark mirror’ এর নিজস্ব উপাদান মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনুমানমূলক হলেও, এই তত্ত্বটি ডার্ক ম্যাটারের নিজস্ব প্রকৃতি এবং এর সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সরবরাহ করে।
কিছু বিজ্ঞানী প্রস্তাব করেছেন যে, ডার্ক ম্যাটার দ্বারা গঠিত নক্ষত্র এ মহাবিশ্বে থাকতে পারে। এই ‘ডার্ক ম্যাটার’ নক্ষত্র স্বাভাবিক পদার্থের সাথে ভিন্নভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে ও তা পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া সম্ভব। এই ধরনের তারার অস্তিত্ব এখনো অনিশ্চিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।