কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ে দুদেশের সেনাসহ কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা।
শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে রবিবার দিনভর চলে দুদেশের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ।
এদিকে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের ঠিক একদিন আগে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস-আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলো।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে কামান ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিক যে-তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে আরও একটির। এতে ৬-১০ জন পাক সেনা ও সমসংখ্যক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।’
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, ‘ভারতের ওই হামলায় এক পাক সেনা ও ছয় বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা হামলায় ভারতের নয় সেনা নিহত হয়েছে। দুটি বাংকার ধ্বংস হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের কড়া জবাবের পরে এখন ভারতীয় সেনা সাদা পতাকা উড়িয়ে নিজেদের নিহতদের দেহ ও আহতদের সরিয়ে নিচ্ছে। হামলার আগে তাদের এ বিষয়টি চিন্তা দরকার ছিল।’
এছাড়া ভারতের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি কতটা ‘ভিত্তিহীন’ তা প্রমাণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে পাক সরকার।
আনন্দবাজার জানায়, পাকিস্তানে সেনা প্রত্যাঘাতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি শিবির উল্লসিত হলেও সোমবার দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেতা অখিলেশ সিংহের কথায়, ‘যখনই বড় কোনো নির্বাচন আসে তখনই যুদ্ধের জিগির ওঠে। অতীতেও দেখা দিয়েছে। কাল দুই রাজ্যে নির্বাচন। তার আগে আবার সেই একই চিত্র দেখা গেল।’
আরজেডি নেতা মনোজ ঝা বলেন, ‘প্রশ্ন সময় নিয়েই। কেন ঠিক ভোটের আগেই যুদ্ধ হয়, সেটাই আশ্চর্যের!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।