আল কারযাভির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনি আন্দোলন এবং আরব বসন্তকে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন। তার জীবন ছিল বর্ণিল ও ঘটনাময়। অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল সবসময় সোচ্চার।
তার মত একজন গুণী ইসলামিক স্কলার সমসাময়িক সময়ে বেশি ছিল না। মুসলিমদের উৎসাহিত করতে এবং স্কলারদের জন্য তিনি বই এবং সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার রেখে গেছেন।
অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাকে বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল। তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তবুও তিনি ইসলাম এবং মুসলিমদের জন্য কাজ করে গেছেন।
তিনি ১৯২৬ সালে মিশরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পড়াশোনা করেছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডে তিনি বেশ সক্রিয় ছিলেন।
সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে ইসলামের জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। সমাজে মানুষ কীভাবে ইসলামের আলোকে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারেন তিনি সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই লিখে গেছেন।
তার গুরুত্বপূর্ণ একটি বইয়ের নাম হল Islamic Awakening Between Rejection And Extremisim। তিনি এখানে চরমপন্থা অবলম্বনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তিনি আল-কায়দা এবং আইএসকে সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করেন। মিশরের সরকারের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য তিনি কাতারে আসেন এবং শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।
ওই সময়ে কাতারের আমির তাকে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে দেখেন এবং তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে তিনি ১০০টির বেশি বই লিখে যান।
পশ্চিমে বসবাস করা মুসলিমরা যেন ইসলামের আলোকে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য তার লেখা সব সময় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ইসলামিক আইনের বিষয়গুলি তিনি অনেক সহজভাবে লিখে গেছেন। এতে করে সাধারণ মানুষ এসব আইন সম্পর্কে সহজে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
আল জাজিরা চ্যানেলে ইসলামের এবং শরিয়াহ বিষয়ে তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। তার লেখা এবং ইসলামী কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি বিশ্বের অন্যতম ধর্মীয় নেতা হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছেন।
ফিলিস্তিনের আন্দোলন এবং আরব দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে তিনি সবসময় সমর্থন করেছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুসলিম স্কলারদের উজ্জীবিত করা কাজটি তিনি খুব ভালোভাবে করতে পেরেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।