স্পোর্টস ডেস্ক : নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও ভিন্ন কৌশলে দল সাজিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। জাতীয় দলে যারা নিয়মিত খেলছেন তারা লাল দলে। যারা অনিয়মিত কিংবা বাইরে আছেন তারা সবুজ দলে।
নাঈম হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিথুন, ইয়াসির আলী রাব্বী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, আরাফাত সানী ও আল-আমিন হোসেনকে নিয়ে তৈরি সবুজ দল।
আর লাল দলে লিটন দাস, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি ও শফিউল ইসলাম (নাঈম হাসান খেলেছেন দুই দলেই)। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা স্পট- ‘নিয়মিতদের ঝালিয়ে নাও, পরীক্ষা নাও বাকিদের।’
তাতে সফল বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সবুজ দল প্রথম প্রস্তুতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাও জিতেছে ৫০ রানে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় রোববার সন্ধ্যায় শুরু ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান করে সবুজ দল। জবাবে ১৭.৪ ওভারে ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় লাল দল।
ইমরুল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ঢোকেননি। তামিম ইকবাল ভারত সিরিজে না থাকায় ইমরুল ঢুকবেন দলে। জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করা ইমরুল দ্যুতি ছড়িয়েছেন মিরপুরে। ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩২ রান।
অন্যদিকে লাল দলের হয়ে লিটন ৩৫ বলে ৩৬ রান করেছেন। সৌম্য জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন অফ ফর্মের কারণে। লিগেও রান পাননি। তবুও তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে দলে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচেও রান পাননি। অবশ্য এদিন রান আউট হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। ওপেনারদের লড়াইয়ে নাঈম শেখও ভালো করেছেন। সবুজ দলের এই ওপেনার ৩৫ বলে করেছেন ২৯ রান।
দুই দলের মিডল অর্ডারে সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন সবুজ দলের ইয়াসির আলী রাব্বী। ২১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন রাব্বী। লাল দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন। আফিফ ৮, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৭ ও মোসাদ্দেক মাত্র ১ রান করেছেন।
পেস বোলিংয়ে লাল দলের মুস্তাফিজুর রহমান বাজে দিন কাটিয়েছেন। বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচ করেছেন নিজের চিরচেনা উইকেটে। সতীর্থ আবু হায়দার রনি সমান ওভারে ২৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। শফিউল ইসলামের পকেটে গেছে ১ উইকেট।
লেগ স্পিনার বিপ্লব মুগ্ধ করেছেন উপস্থিত সবাইকে। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। তার বোলিং স্পেলে ছিল ৯টি ডট বল। এছাড়া তরুণ নাঈম আর রিশাদও পেয়েছেন উইকেটের স্বাদ।
সব মিলিয়ে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি নিজেদের করে নিয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুই বিভাগেই তারা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন নিয়মিত ক্রিকেটারদের। অবশ্য লাল দলের হয়ে এ ম্যাচে খেলতে নামেননি সাকিব আল হাসান। মাঠে উপস্থিত থাকলেও সাকিব খেলেননি ম্যাচে। কেন? সেই উত্তর জানা নেই টিম ম্যানেজমেন্টেরও!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।