জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের কেশবপুরে শিশু রত্না (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রত্না আত্নহত্যা করেনি। রত্নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এস আই স্নেহাশীষ দাশ সন্দিগ্ধ আসামি ইসমাইল হোসেনকে পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর সোমবার (৪ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে সোপর্দ করলে রত্নাকে ধর্ষণের চেষ্টার পর হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দেয়।
আটক ইসমাইল কেশবপুর আলতাপোল (সরদারপাড়া) কালাচাদ সরদারের ছেলে। রত্না সম্পর্কে ইসমাইল হোসেনের নাতনী। ৩ জানুয়ারি আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এস আই স্নেহাশীষ দাশ জানান, আটক ইসমাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার সুবাদে ইসমাইল পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া থানা এলাকায় থাকেন। পিতা কালাচাঁদ সরদারের অসুস্থ্যতার কথা শুনে তাকে দেখতে ২১ নভেম্বর বিকালে কেশবপুরের বাড়ি আসেন। রত্না ঘরে বসে একা একা টিভি দেখছিলেন।
কালাচাদ সম্পর্কে ভিকটিম রত্নার পিতা জাহিদুল ইসলামের নানা। তিনি মেয়ে রত্নাকে নিয়ে নানা বাড়িতেই থাকতেন। ইসমাইল বাড়ি আসার পর ওই দিন বিকেলে ঘরে ঢুকে রত্নাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার দিলে ইসমাইল নাক, মুখ চেপে ধরলে রত্না নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইসমাইল ঘটনাকে ভিন্ন রুপ দেয়ার জন্য ওড়না গলায় পেঁচিয়ে রত্নাকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেয়। এরপর তিনি ঘর থেকে কৌশলে বেরিয়ে যান। আটকের পর ইসমাইল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে একই কথা স্বীকার করে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআএয়র এস আই স্নেহাশীষ দাশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘরের বাঁশের আড়া থেকে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় কেশবপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে ময়না তদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে নিহত রত্নার পিতা জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ২৯ ডিসেম্বর কেশবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়। মামলাটি স্ব-উদ্যোগে পিবিআই গ্রহণ করে এস আই স্নেহাশীষ দাশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।