স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশের ক্রিকেটে ডামাডোল আর থামছেই না। তিন দিন আগেই তিনি বিজ্ঞাপনের কাজে দুবাই গেছেন। যাওয়ার আগে বলে গেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোনো ফরম্যাটেই তিনি খেলবেন না। এর অনেক আগে থেকেই সাদা পোশাকের প্রতি সাকিবের অনাগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
তারপরও সাকিবকে চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন ফরম্যাটেই রাখা হয়েছে! এই চুক্তি নিয়ে সাকিব এবং বিসিবি সভাপতির পরস্পরবিরোধী মন্তব্য বেশ কৌতূহলোদ্দীপক?
দুবাই যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাকিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, টেস্ট নিয়ে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন। কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার আসলে হয়নি এখনো। ওই লেটার, ফর্মটা পাইনি যেখানে জানাব যে আমি অ্যাভেইলেভল ফর টেস্ট, ওডিআই বা অন্য কিছু। ‘ তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘যদি সবার কাছে অপশনটা দিয়ে দেওয়া যায়, সবার মতামত নেওয়া হয় কিংবা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার জন্য মনে হয় এটা সবার জন্য ভালো। ‘
সাকিব চলে যাওয়ার পরদিন এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, কে কোন ফরম্যাটে খেলবে- সেই কাগজ সাকিবকে দেওয়া হয়েছে তিন-চার মাস আগেই! পাপনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘সাকিব তো শুনলাম বলেছেন, বিসিবি থেকে এখনো কোনো ফরমই তাদের সরবরাহ করা হয়নি। যেখানে তিনি জানাতে পারেন যে কোন সংস্করণে খেলবেন আর কোনটিতে খেলবেন না?’
জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘একদম ভুল। আরো তিন-চার মাস আগেই ওদেরকে ফরম দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট অপারেশনস থেকে আমাকে সেসব পাঠানোও হয়েছে। ওখানে সাকিবের ফরমও আছে। যেখানে সেসব সংস্করণে খেলার সম্মতি দিয়ে রেখেছে। এখন খেলব বলে দুই দিন পর পর এসব করছে, কী করব বলেন? খেলুক না খেলুক, টাকা তো পাচ্ছে, কী করব?’
দুজনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের পর আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা। যাতে সাকিবসহ পাঁচ ক্রিকেটার আছেন তিন ফরম্যাটেই। চুক্তিভুক্ত করার আগে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চান- তার কাগজ অবশ্যই ক্রিকেটারদের হাতে দেওয়ার কথা। সেই কাগজে অবশ্যই ক্রিকেটাররা নিজেদের পছন্দমতো ফরম্যাটে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু দুবাই যাওয়ার আগে সেটি অস্বীকার করেছেন সাকিব। তাহলে সত্যিটা বলছেন কে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।