আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালে নিজেদের পোর্টফলিও অর্ধেক ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেয় কোকাকোলা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অধীনে থাকা খারাপ পারফরম্যান্স করা ব্র্যান্ডগুলোকে বাদ দিয়ে কোকের মতো প্রভাবশালী ব্র্যান্ডগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়। বর্তমানে কোকাকোলা তাদের কোকের বোতল বা ক্যানের বাইরের নকশার পরিবর্তন এবং নতুন পণ্য বাজারে এনে গ্রাহক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজ করছে।
সম্প্রতি নতুন সাজে কোকের ক্যান বাজারে এনেছে জনপ্রিয় কোমল পানীয় প্রস্ততকারক কোকাকোলা। শুধু তাই না, নকশার পাশাপাশি স্বাদেও নতুনত্ব এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে টিকে থাকতে এবং কোকের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতেই অভিনব এ কৌশল অবলম্বন করেছে তারা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাজেন্টার উপর সাদা রংয়ের কোকাকোলার লোগো সম্বলিত চেরি কোকের ক্যান বের হবে। চিনিবিহীন কোকের ক্যানে ব্যবহৃত হয়েছে কালো অক্ষরের কোকাকোলার লোগো। ক্রিম রংয়ের ক্যানে ভ্যানিলা কোক নিয়ে এসেছে কোকাকোলা। আর চেরি ভ্যানিলা ফ্লেভারের ক্যান বানানো হয়েছে দুটি রংয়ের সমন্বয়ে।
এছাড়া, জিরো ক্যাফেইন এবং চিনিবিহীন কোকের ক্যানেও পরিবর্তন এসেছে। জানুয়ারির শেষদিকে নতুন মোড়কে ভিন্ন স্বাদের কোকাকোলার ক্যানগুলো বাজারে আসবে।
২০২১ সাল থেকেই কোকাকোলা নিজেদের পণ্যের বাজারজাতকরণ নতুন করে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তখনই তারা তাদের ডায়েট কোক এবং কোক জিরো সুগারের প্যাকেজিং পরিবর্তন করে। পাশাপাশি ডায়েট কোকের স্বাদ সাধারণ কোকের মতো রাখতে কোকের রেসিপিতেও পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোকাকোলার উত্তর আমেরিকা শাখার কোক চয়েস পোর্টফলিওর সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার নাটালিয়া সুয়ারেজ বলেন, “বিভিন্ন ফ্লেভারের কোকের প্যাকেজিংয়ে নতুনত্ব আনার উদ্দেশ্য হলো এর নকশাকে আরও আধুনিক এবং সহজ করে তোলা।”
তিনি আরও জানান, নতুন প্যাকেজিংগুলো দেখে মানুষ সহজেই বুঝতে পারবে কোনটি কোন ফ্লেভারের এবং জিরো-সুগার (ক্যালরি ফ্রি) ও ফুল-সুগারের মধ্যেও পার্থক্য করতে পারবে।
এতো গেলো বাইরের নকশার কথা। নকশার সঙ্গে সঙ্গে কোকের ফ্লেভার অর্থাৎ স্বাদেও নতুনত্ব এনেছে কোকাকোলা। কোক নিয়ে ভোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে কোমল পানীয় প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানটির এ সিদ্ধান্ত।
বছরখানেক আগে কফি পাউডার দিয়ে তৈরি কোক বাজারে এনেছিল কোকাকোলা। উত্তর আমেরিকার বাজারে প্রথম এর বিপণন শুরু হয়। কফি ফ্লেভারের কোক বাজারে আনার পর ভোক্তাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান কোকা-কোলা ট্রেডমার্ক এর ব্র্যান্ড ডিরেক্টর ব্র্যান্ডন স্ট্রিকল্যান্ড।
ইতোমধ্যেই ডার্ক ব্লেন্ড, ভ্যানিলা এবং ক্যারামেল কফি ফ্লেভারে কোক বাজারজাত করেছে কোকাকোলা। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন মোচা ফ্লেভারের কোকও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানায় তারা।
২০২০ সালে কোকাকোলা শক্তিবর্ধক হিসেবে কোক এনার্জি ড্রিংক বাজারে এনেছিল। কিন্তু উত্তর আমেরিকার বাজারে পণ্যটির বিপণন শুরু হলেও ক্রেতাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় এটির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।