আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন গাঁজা শিল্প ২০২৪ সালেই ৪০ বিলিয়ন ডলার ছোঁবে। বৈধকরণের প্রথমদিকে ২০১৬ সালে মাত্র ৭.৬ বিলিয়ন ডলার ছিল এই বাজার। ২০২৮ সাল নাগাদ তা ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিপরীতে সর্বশেষ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার আয় ছিল প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত গাঁজা শিল্প থেকে আয় যুক্তরাষ্ট্রের চকলেট শিল্পের দ্বিগুণ এবং বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার মোট আয়ের কাছাকাছি। কোকা-কোলার মোট আয়ের এক তৃতীয়াংশই আসে উত্তর আমেরিকা থেকে। ২০২৩ সালে কোকা-কোলার ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল মোট ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
চিকিৎসাজনিত ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গাঁজা-মারিজুয়ানার ব্যবহার এখন বৈধ। বিনোদনের জন্য কলেরাডো রাজ্যে এক দশক আগে গাঁজাকে বৈধতা দেয়ার পর থেকে অন্যান্য রাজ্যগুলোও গাঁজার প্রতি সহনশীল হতে থাকে। একে একে ৪০টি রাজ্যে চিকিৎসার জন্য এবং ২৪টি রাজ্যে বিনোদনের জন্য গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি দিনের গাঁজার ব্যবহার অ্যালকোহলকে ছাড়িয়ে গেছে। চার দশক ধরে ন্যাশনাল সার্ভে অন ড্রাগ ইউজ অ্যান্ড হেলথের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে অ্যাডিকশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক গাঁজা সেবন করেন এমন মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি ৭৭ লাখ। এ সময় দৈনিক মদপানকারীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।