নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের আট থানায় ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সব মামলায় নামীয় পাঁচ শতাধিক ও অজ্ঞাতসহ ১৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আড়াইশত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরের থানাগুলোতে দায়ের হওয়া ২৮ মামলায় ৬৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। নাশকতা এড়াতে আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গাজীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাপ ছড়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে। তবে সেই আন্দোলন সহিংসতায় রুপ নেয় শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরের পর থেকে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানাধীন শিববাড়ী, কেয়ামত সড়ক; বাসন থানাধীন ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা, তেলিপাড়া; গাছা থানাধীন কুনিয়া, বোর্ড বাজার, বড়বাড়ী; টঙ্গী পশ্চিম ও পূর্ব থানা ও কোনাবাড়ী থানাধীন কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, ফ্লাইওভারের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে। তবে কাশিমপুর থানা ও জেলার উপজেলায় তেমন সহিংসতা হয়নি।
সহিংসতার পর থেকে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে বাংলাদেশ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে থাকা বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে।
এদিকে, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) থেকে গাজীপুরের সব শিল্পকারখানা বন্ধ ছিল। আজ বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে সব কারখানা খুলছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা এবং শিপমেন্ট বিপর্যয়ে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরে মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্পপুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সব পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় শিল্পপুলিশের ৪২০ জন সদস্য কাজ করে যাচ্ছে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পুড়েছে ১৪টি গাড়ি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।