গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: একটা সময় ছিল উত্তরাঞ্চলের সবজির ওপর নির্ভর করতে হতো পটুয়াখালীর মানুষকে। সেদিন আর নেই। এখন বর্ষা মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে বুলবুলি ও টিয়া জাতের উচ্চ ফলনশীল করলা উৎপাদন করছে পটুয়াখালীর সবজি গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা।
সারা বছর এই গ্রামে বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি উৎপাদন হয়। এবারও সবজি গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা গ্রামে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। যার ফলে উত্তরাঞ্চলের সবজির ওপর নির্ভরতা দিন দিন কমতে শুরু করেছে।
লবণাক্ত জমিতে কান্দি পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা বীজ বপন করে ৪৫ দিনের মধ্যে ফলন ঘরে তোলে কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে করলা চাষ করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। একবার মাচা করলে তিন বছর পর্যন্ত যায়। আর এক বিঘা জমিতে ১২ মণ করলা উৎপাদন হয়, যা আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করা করা হয় বলে জানান কৃষকরা।
এবার করলার ভালো ফলন ও প্রতি কেজি করলা একশত টাকার উপরে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ টন করলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, নীলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত সবজিচাষি কেউ মাথায় আবার কেউ ভ্যান ও রিকশায় করে করলা নিয়ে বাজারে আসছে। স্থানীয় আড়ৎ হয়ে এসব করলা ট্রাক যোগে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সবজিচাষি জাকির গাজি বলেন, ‘আমি এবার আগাম জাতের করলা আবাদ করেছি। এগুলো প্রতিদিন বাজারে নিয়ে আসতে হয়। দাম ভালো পাচ্ছি। এবার শাকসবজিতে পোকার আক্রমণ কম। ফসল ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে খরচ তুলে লাভ হচ্ছে।’
পাইকারী বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, একটা সময় ছিলো উরাঞ্চলের সবজির ওপর নির্ভর করে চলতে হতো পটুয়াখালীর মানুষকে। তবে এখন আমাদের এলাকার সবজি বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। করলার এবার বাজার দরও ভালো।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন বিভাগেরব উপ পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালীর কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে করলা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে বহু বছর আগে। এখানের উৎপাদিত করলা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা একশত টাকার উপরে বিক্রি করে কৃষকরা অধিক মুনাফা অর্জন করছে।
এবছর জেলায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে করলা আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।