জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় কম সংক্রমণের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার এন্টিজেন টেস্টসহ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে চট্টগ্রামের দশ ল্যাবে ১ হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ২৬ বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২২ জন এবং তিন উপজেলার ৪ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫১৬ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৫৪০ জন ও গ্রামের ২৭ হাজার ৯৭৬ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৪ জনের মধ্যে বোয়ালখালীতে ২ জন এবং ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় নগরীতে ৩ জনের মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৯ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭১১ জন ও গ্রামের ৫৭৮ জন। করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৬ জন। ফলে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৬ হাজার ৫০৫ জনে। এদের ১০ হাজার ৫০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ও ৭৫ হাজার ৯৯৯ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ১২০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৭৪ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৫৫৬ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ গতকালের চেয়ে কম আক্রান্ত মিলে ১৫ মে। এদিনে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জন সংক্রমিত হলেও হার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। আক্রান্ত ৪ রোগীর মৃত্যু হয়। তবে গতকালের আক্রান্তের সংখ্যা এ মাসের সর্বনি¤œ। ১৯ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ২৭ জন নতুন রোগী চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এদিকে গতকালের ৩ জনসহ চলতি মাসের ২৩ দিনে চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা ৫৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ২ জনসহ ৯ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪ ও গ্রামের ২ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজনও আক্রান্ত মিলেনি। জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪ টি নমুনায় শহরের ১ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১৭ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ টি, মেডিকেল সেন্টারে ১০ টি নমুনায় শহরের একটি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৪ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৯ টি এবং ল্যাব এইডে ২ টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে করোনার জীবাণু মিলেনি।
তবে এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক ২৪, শেভরনে ১, আরটিআরএলে ২৫ ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১০ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ৪২, এপিক হেলথ কেয়ারে ২ দশমিক ৯৪ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও ল্যাব এইডে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।