স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল। যেখানে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটের মধ্যেই ৪-০ গোলে এগিয়ে গেছে সেলেসাওরা। প্রথম গোলটি করেন ভিসিসিয়াস জুনিয়র। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। এরপর রিচার্লিসনের পা থেকে তৃতীয় গোলটি আসে। আর ৩৬তম মিনিটে লুকাস পাকুয়েতা চতুর্থ গোলটি করেন।
দোহায় স্টেডিয়াম ৯৭৪- এ সোমবার শেষ ষোলোর ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। সপ্তম মিনিটে তাদের গোল উৎসবের শুরু ভিনিসিউস জুনিয়রের পায়ে। একে একে স্কোরলাইনে নাম লেখান নেইমার, রিশার্লিসন ও লুকাস পাকেতা।
প্রথম তিন মিনিটে ভালো দুটি আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে বক্সে ঢুকতে পারেনি ব্রাজিল। তবে সাফল্য মিলতে দেরি হয়নি। সপ্তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ছোট্ট ভুলের সুযোগে এগিয়ে যায় তারা।
ডি-বক্সের বাইরে কোরিয়া বল হারালে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একজনের বাধা এড়িয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এরপর বাইলাইন থেকে বক্সের বাঁ দিকে পাস দেন তিনি। ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিউস।
ছয় মিনিট পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। বক্সে রিশার্লিসনকে কোরিয়ার জং য়ু-ইয়ং ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় ব্রাজিল। দেশের হয়ে নেইমারের সবশেষ ৬ গোলের সবকটিই পেনাল্টি থেকে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেইমারের গোল হলো ৭৬টি, ১২৩ ম্যাচে। আর একটি গোল করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড।
বিশ্বকাপে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ম্যাচে প্রথম ১৩ মিনিটে দুই গোল করল ব্রাজিল। প্রথমবার তারা করেছিল ২০০২ আসরে কোস্টা রিকার বিপক্ষে, সেবার ৫-২ গোলে জিতেছিল তারা।
চার মিনিট পর আলিসনের নৈপুণ্যে জাল অক্ষত থাকে ব্রাজিলের। অনেক দূর থেকে মিডফিল্ডার হাং হি-চানের বুলেট গতির শট ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, শেষ মুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান লিভারপুল গোলরক্ষক।
মিলিতাও-সিলভাদের জমাট রক্ষণ ভাঙায় তেমন সুবিধা করতে পারছিল না সন হিউং-মিন ও তার সতীর্থরা। সেজন্যই হয়তো পরের পাঁচ মিনিটে আরও দুবার দূর থেকে শট নেয় তারা, তবে আলিসনকে আর সেভাবে ভাবাতে পারেনি।
২৯তম মিনিটে চোখজুড়ানো ফুটবলে ব্যবধান আরও বাড়ান রিশার্লিসন।
ভয়ঙ্কর-সুন্দর ফুটবলে কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিল
প্রথমে মাথা দিয়ে, পরে পায়ে বল নিয়ে কারিকুরিতে প্রতিপক্ষের একজনকে ফাঁকি দিয়ে সামনে মার্কিনিয়োসকে বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রিশার্লিসন। এর মাঝেই মার্কিনিয়োস পাস দেন বাইরে চিয়াগো সিলভাকে আর অধিনায়ক থ্রু বল বাড়ান বক্সে। প্রথমে ডান পায়ে বল ধরে বাঁ পায়ের আলতো শটে লক্ষ্যভেদ করেন টটেনহ্যাম হটস্পার ফরোয়ার্ড।
প্রতিটি গোল শেষেই ট্রেডমার্ক হয়ে ওঠা নাচে উদযাপন করছিল ব্রাজিল। তবে তৃতীয় গোলটি ছিল যেন বিশেষ। রিশার্লিসনের এত সুন্দর গোলটা দেখে শিষ্যদের সঙ্গে নাচে যোগ দেন রাশভারি কোচ তিতেও।
৩৬তম মিনিটে আরেকটি বিধ্বংসী আক্রমণে স্কোরলাইন ৪-০ করেন পাকেতা। বাঁ দিক দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে দারুণ চিপ শটে বল দূরের পোস্টে বাড়ান ভিনিসিউস আর ডান পায়ের নিখুঁত শটে গোলটি করেন ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পাকেতা।
বিশ্বকাপে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে চার গোল করল ব্রাজিল। ১৯৫৪ আসরে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রথম এমন কিছু করেছিল তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।