স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠের মধ্যে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে হওয়া বিবাদ নিয়ে এ বার মুখ খুললেন হরভজন সিংহ। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে, মাঠে এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি এস শ্রীসন্থকে তাঁর চড় মারার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। ১৫ বছর আগের ঘটনার কথা ভাবলে এখনও তাঁর লজ্জা লাগে বলে জানিয়েছেন ভাজ্জি।
কোহলি-গম্ভীর বিবাদ নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা তো এখানে থামবে না। এর পর নানা লোকে নানা কথা বলবে। এই পরিস্থিতি আমারও হয়েছিল। ২০০৮ সালে শ্রীসন্থের সঙ্গে যেটা করেছিলাম সেটা ১৫ বছর পরেও আমাকে কষ্ট দেয়। আমি লজ্জিত। সেই সময় মনে হয়েছিল আমি ঠিক করেছি। কিন্তু এখন মনে হয় আমি ভুল করেছিলাম।’’
কোহলি ও গম্ভীরের মতো ক্রিকেটারের এই ধরনের বিবাদে জড়ানো উচিত নয় বলে মনে করেন হরভজন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোহলি এক জন কিংবদন্তি। ওর এই ধরনের ঘটনায় জড়ানো উচিত নয়। আমি বুঝতে পারছি যে খেলার মধ্যে ও এতটাই জড়িয়ে পড়ে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। কার দোষে এই ঘটনা হল সেটাই এখন সবাই খুঁজে বার করার চেষ্টা করবে। কোহলি, গম্ভীর দু’জনেই বড় ক্রিকেটার। দু’জনেই আমার ভাইয়ের মতো। তাই ওদের বলছি, এই ধরনের বিবাদ থেকে দূরে থাকো।’’
আইপিএলে সোমবার ম্যাচ চলাকালীনই নবীনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় কোহলির। লখনউয়ের ইনিংসের শেষ দিকে বিরাটের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আফগান বোলারের। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের। সেই বিবাদ ম্যাচের পরেও চলতে থাকে। নবীন আউট হওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি।
টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।