Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কোয়ারেন্টাইনে কী করতে হবে, যা জানা জরুরী
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) ইসলাম ধর্ম

    কোয়ারেন্টাইনে কী করতে হবে, যা জানা জরুরী

    Shamim RezaMarch 26, 20208 Mins Read
    Advertisement

    লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নিয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাইকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভাইরাস প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউন শব্দগুলো বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু অনেকের কাছে এই শব্দগুলোর অর্থ এখনো অজানা। আবার অনেকেই এগুলোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

    চলুন আগে জেনে নিই কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউন কী?

    কোয়ারেন্টাইন
    যেসব ব্যক্তিকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তিনি সুস্থ হতে পারেন, আবার নাও পারেন, তার মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে কিন্তু কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি— এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিন এভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়। ১৪ দিন পর্যন্ত কাউকে কোয়ারেন্টাইনে রাখলে যদি তার ভেতরে জীবাণু থাকে তাহলে উপসর্গ দেখা দেবে। কোয়ারেন্টাইন থেকে লক্ষণ প্রকাশ না হলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলা হয়। কোয়ারেন্টাইনে রাখা অবস্থায় উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে।

    আইসোলেশন
    আইসোলেশন হচ্ছে, কারো মধ্যে যখন জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে বা ধরা না পড়লেও উপসর্গ থাকে তখন তাকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বিশেষ এই পদ্ধতিতে কোনো রোগীর হাঁচি-কাশি, মল-মূত্র অন্য কারো সংস্পর্শে যাবে না। জীবাণু যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এজন্য রোগীকে যত রকম ব্যারিয়ার দেওয়া সম্ভব, আইসোলেশনে তা দেয়া হয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আইসোলেশন হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য, আর কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে সুস্থ বা আপাত সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। আইসোলেশনে কতদিন রাখা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। পুরোপুরি সেরে না ওঠা পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়।

    হোম কোয়ারেন্টাইন
    কোনো ব্যক্তি যখন বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সকল নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সাথে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন সেটিকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলা হয়। কোনো ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরেন তাকে হোম কোয়রান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কমপক্ষে ১৪ দিন তিনি কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলবেন।

    স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন
    কোনো ব্যক্তি যখন সকল প্রকার সামাজিকতা থেকে দূরে থেকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করেন তখন সেটি স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত নাও হতে পারেন। আবার হয়তো তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ ভ্রমণও করেননি। বরং, এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য নিজেকে আলাদা রেখেছেন।

    লকডাউন
    এর শাব্দিক অর্থ তালাবদ্ধ করে দেয়া। শব্দটির ব্যাখ্যায় ক্যামব্রিজ ডিকশনারিতে বলা হয়েছে, কোনো জরুরি পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষকে কোনো জায়গা থেকে বের হতে না দেয়া কিংবা ওই জায়গায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়াই হলো ‘লকডাউন।’ এছাড়া অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে বলা হয়েছে, জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে কোনো নিদিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করাই ‘লকডাউন।’ তবে ‘লকডাউন’ শব্দটির সরল বাংলা ‘অবরুদ্ধ’ কিংবা ‘প্রিজনে রাখা’ বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মুনতাসির হাসান। এই মতটিকেই সমর্থন করে ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এই শব্দটি নতুন আসায় এর বাংলা প্রতিশব্দ এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে এর অর্থ ‘অবরুদ্ধতা’ হতে পারে।’

    বর্তমান অবস্থায় কোয়ারেন্টাইন ও করণীয় :
    শুরুতে আক্রান্ত অঞ্চল এবং আক্রান্ত দেশ থেকে কেউ নতুন কোথাও প্রবেশ করলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পুরো বিশ্বই এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে।

    আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধির (আইএইচআর-২০০৫) আর্টিকেল ৩২ অনুযায়ী, যে-সব দেশে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে সে-সব দেশ থেকে আসা যাত্রীরা(দেশি-বিদেশি যে কোনো নাগরিক), যারা দেশে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন (আক্রান্ত হওয়ার কোনো শারীরিক উপসর্গ না থাকলেও) তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করা আবশ্যক।

    হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশাবলী

    – অত্যাবশ্যকীয়ভাবে নিজের বাড়িতে থাকুন।

    – হাসপাতাল বা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবেন না। অর্থাৎ বাড়ির বাইরে কাজে, স্কুল, কলেজ বা জনসমাগমে যাওয়া বন্ধ রাখুন।

    – বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকুন। আলো-বাতাসের সুব্যবস্থা সম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকুন।

    – তা সম্ভব না হলে, অন্যদের থেকে অন্তত এক মিটার (৩ ফুট) দূরে থাকুন (ঘুমানোর জন্য পৃথক বিছানা ব্যবহার করুন)।

    – যদি সম্ভব হয় তাহলে আলাদা টয়লেট ব্যবহার করুন।

    – শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

    – আপনার সঙ্গে কোনো পশু-পাখি রাখবেন না।

    – মাস্ক ব্যবহার করুন।

    – বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে থাকলে, বিশেষ করে এক মিটারের মধ্যে আসার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

    – মাস্ক পরে থাকলে বারবার তাতে হাত দেবেন না।

    – মাস্ক ব্যবহারের সময় সর্দি, কাশি, বমি ইত্যাদি হলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে ফেলুন এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করুন।

    – মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনিযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন এবং সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধুয়ে নিন।

    হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও অন্যান্য সতর্কতা

    – হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোবেন। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

    – অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।

    – হাত ধুয়ে টিস্যু দিয়ে মোছার চেষ্টা করুন। টিস্যু না থাকলে শুধু হাত মোছার জন্য নির্দিষ্ট তোয়ালে/গামছা ব্যবহার করুন এবং ভিজে গেলে বদলে ফেলুন।

    – হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকুন।

    – কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু পেপার, মেডিকেল মাস্ক, কাপড়ের মাস্ক বা বাহুর ভাঁজে মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন এবং উপরের নিয়মানুযায়ী হাত পরিষ্কার করুন।

    – টিস্যু পেপার ও মেডিকেল মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত বিনে ফেলুন।

    – ব্যক্তিগত ব্যবহার্যসামগ্রী অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না।

    – আপনার খাওয়ার বাসনপত্র- থালা, গ্লাস, কাপ, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না।

    – সবকিছু ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

    – কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে, খাবার তৈরির আগে ও পরে এবং খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে, যখনই হাত দেখে নোংরা মনে হয় তখনই হাত ধুয়ে ফেলুন।

    – খালি হাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির ঘরের কোনো কিছুস্পর্শ করবেন না।

    আরও কী করা যেতে পারে :

    – যেহেতু এ সময়টা একান্তই নিজের তাই প্রত্যেকে তার নিজ নিজ ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
    – প্রার্থনায় নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে সমর্পণ করুন।

    হোম কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা :
    চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হবে। চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত মতে, একজন হতে অন্যজনের কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা আলাদা হতে পারে। তবে, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ সময়সীমা ১৪ দিন।

    কোয়ারেন্টাইনের থাকাকালে করণীয়-
    – নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে জানা যেতে পারে।। WHO, CDC, IEDCR-এর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পেতে পারেন।

    – পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মোবাইল বা ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ রাখুন।

    – আপনার দৈনন্দিন রুটিন, যেমন: খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলুন।

    – বইপড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা বা পছন্দের কিছু করতে পারেন।

    – কোয়ারেন্টাইনে আছেন এমন ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সদস্য বা বাইরের কেউ দেখা করবেন না।

    এছাড়া–

    – কোয়ারানটিনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তার পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি বা অন্য আবর্জনা ওই রুমে রাখা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে রাখুন। এ সব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলুন।

    – ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, টয়লেট ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করুন।

    – পরিষ্কারের জন্য এক লিটার জলের মধ্যে ২০ গ্রাম (২ টেবিল চামচ পরিমাণ) ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে দিন। মনে রাখবেন একদিনের বেশি ওই পানি ব্যবহার করবেন না।

    – কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিকে নিজের কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহৃত কাপড় গুঁড়া সাবান বা কাপড়কাচা সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে বলুন এবং পরে ভালোভাবে শুকিয়ে ফেলুন।

    – নোংরা কাপড় একটি লন্ড্রিব্যাগে আলাদা রাখুন।

    – স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল এবং আইইডিসিআর-এ যোগাযোগের প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরগুলো সংগ্রহে রাখুন।

    কোয়ারেন্টাইনের ধারণা আসে হযরত মোহাম্মদ (সা.) থেকে :

    মহামারিতে এই কোয়ারেন্টাইনের ধারণা সর্বপ্রথম যিনি দিয়েছিলেন তিনি হলেন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)।

    যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত রাইস ইউনিভার্সিটির গবেষক এবং আন্তর্জাতিক বক্তা ড. ক্রেইগ কন্সিডাইন তার লেখায় এমনটি উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ও সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

    ইমিউনোলজিস্ট ডা. অ্যান্থনি ফসি এবং মেডিকেল রিপোর্টার ডা. সঞ্জয় গুপ্তের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সুন্দর ব্যবস্থাপনায় হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে। একই সঙ্গে সুস্থ লোকদের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, এসব উপায়ই করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) থেকে বেঁচে থাকার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

    মার্কিন গবেষক ড. ক্রেইগ কন্সিডাইন লিখেছেন, আপনারা কি জানেন মহামারির সময়ে সর্বপ্রথম কে এই সবচেয়ে ভালো কোয়ারেন্টাইনের উদ্ভাবন করেছেন? আজ থেকে প্রায় ১৩শ বছর আগে ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মোহাম্মাদ (সা.) পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টাইনের ধারণা দেন। যদিও তার সময়ে সংক্রামণ রোগের মতো কোনো বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। তারপরেও তিনি এসব রোগব্যাধিতে তার অনুসারীদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা ছিল কভিড-১৯ এর মতো প্রাণঘাতী রোগ মোকাবেলায় দুর্দান্ত পরামর্শ। তার সেই পরামর্শ মানলেই করোনার মতো যেকোনো মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    এ বিষয়ে মোহাম্মদ (স.) কথা উল্লেখ করে ওই গবেষক লেখেন, ‘মোহাম্মাদ বলেছেন, যখন তুমি কোনো ভূখণ্ডে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তখন সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে প্লেগ যদি তোমার অবস্থানস্থল পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে ওই জায়গা ত্যাগ কোরো না।’ তিনি আরও বলেছেন, যারা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের সুস্থ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে।’

    এভাবে বিভিন্ন সময়ে মানব জাতিকে সংক্রামণ থেকে রক্ষা করতে মোহাম্মাদ (সা.) রোগব্যাধিতে আক্রান্ত লোকদের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করতেন। এ ব্যাপারে তার অমূল্য বাণীগুলো হচ্ছে- ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।’ ‘ঘুম থেকে ওঠার পরে হাত ধৌত করো। কেননা ঘুমের সময় তোমার হাত কোথায় স্পর্শ করেছে তা তুমি জান না।’ ‘খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে।’ ইত্যাদি।

    সবচেয়ে বড় কথা, মোহাম্মাদ (সা.) এটা বলেননি যে, শুধু তুমি প্রার্থনা করে বসে থাকবে। বরং তুমি প্রার্থনার পাশাপাশি চিকিৎসা নেবে। সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পেতে মৌলিক নিয়মগুলি মেনে চলবে।

    এর উদাহরণ হিসেবে মোহাম্মাদ (সা.)-এর সময়ের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন মার্কিন গবেষক। তিনি তিরমিজি শরিফের বরাত দিয়ে লিখেন, ‘একদিন, মোহাম্মাদ এক বেদুইনকে লক্ষ্য করলেন যে, সে তার উটটি না বেঁধে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি বেদুইনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি তোমার উটটি বেঁধে রাখছো না কেন?’ জবাবে বেদুইন বললো, ‘আমি ইশ্বরের (আল্লাহ) উপর ভরসা রেখেছি।’ তখন নবী বললেন, ‘তোমার উটটি আগে বেঁধে রাখ, তারপর আল্লাহ উপর আস্থা রাখ।’

    মোহাম্মাদ (সা.) ধর্মীয় ক্ষেত্রে যেমন অবদান রেখে অমর হয়ে আছেন। ঠিক তেমনই মানুষের জীবনযাপন বিষয়ক মহামূল্যবান যে পরামর্শ তিনি দিয়ে গেছেন তা আজও অনুকরণীয়।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    স্বপ্ন দেখার ইসলামিক ব্যাখ্যা

    স্বপ্ন দেখার ইসলামিক ব্যাখ্যা: স্বপ্নের রহস্য উদঘাটন

    July 3, 2025
    হজ্ব, প্রস্তুতি

    হজ্বে যাওয়ার প্রস্তুতি: প্রয়োজনীয় গাইড

    July 3, 2025
    ইসলামিকভাবে সন্তানকে বড় করার নিয়ম

    ইসলামিকভাবে সন্তানকে বড় করার নিয়ম: প্রত্যেক অভিভাবকের পথপ্রদর্শক

    July 1, 2025
    সর্বশেষ খবর
    RoRo: Revolutionizing the World of Music with a Fusion of Culture and Rhythm

    RoRo: Revolutionizing the World of Music with a Fusion of Culture and Rhythm

    Monetize a Niche Blog in 2025: Proven Strategies for Passive Income

    Monetize a Niche Blog in 2025: Proven Strategies for Passive Income

    Chen Joong: Martial Arts Mastery Captivating Global Audiences

    Chen Joong: Martial Arts Mastery Captivating Global Audiences

    Hooked Creativity: Pioneering Personalized Shopping Experiences

    Hooked Creativity: Pioneering Personalized Shopping Experiences

    Lisa: The Inspirational Icon Shaping the Future of K-Pop

    Lisa: The Inspirational Icon Shaping the Future of K-Pop

    Erin Lim: The Charismatic Connector of Entertainment Worlds

    Erin Lim: The Charismatic Connector of Entertainment Worlds

    Alix Earle: The Relatable It Girl Revolutionizing Social Media Authenticity

    Alix Earle: The Relatable It Girl Revolutionizing Social Media Authenticity

    Metaverse Connect: Top Virtual Reality App 2025

    Metaverse Connect: Top Virtual Reality App 2025

    HT Media Digital Evolution: Leading the News Industry Revolution

    HT Media Digital Evolution: Leading the News Industry Revolution

    Faceless YouTube Video Creation Guide

    Faceless YouTube Video Creation Guide

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.