জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই মোকলেছুর। এ ঘটনায় মামলা করেন ওই তরুণী। ওই এএসআইকে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত এবং আসামিকে বাঁচাতে ধর্ষণ মামলায় দুর্বল ধারা দিয়েছিল পুলিশ। পরে আইনজীবীসহ বিভিন্নজনের আপত্তিতে সেই দুর্বল ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই তরুণীকে আইনগত সহায়তা প্রদানকারী মানবধিকার কর্মী ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত এবং আসামিকে বাঁচাতে ধর্ষণ মামলায় দুর্বল ধারা দিয়েছিল। আমাদের আপত্তির কারণে তদন্ত কর্মকর্তা ধারা সংশোধন করেছেন।
তিনি বলেন, আগে দেয়া হয়েছিল ৯(৫) ধারা। অর্থাৎ এ ধারার অপরাধ হচ্ছে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ধর্ষণ হলেও ধর্ষক ওই পুলিশ সদস্য নয় অন্য কেউ। এখানে পুলিশের অপরাধ হচ্ছে তার দায়িত্বে অবহেলা। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। এখন সংশোধন করে দেয়া হয়েছে ২০০০ এর ৯(১) ধারা। এ ধারার অপরাধে ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলনা সদর থানার এএসআই আবু সাঈদ বলেন, প্রিন্টের সময় ধারা বাদ পড়ে গিয়েছিল। আদালতে আবেদন করে এ ধারা সংশোধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনার পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন- এ অভিযোগ তুলে সোমবার এএসআই মোকলেছুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী। এর আগের দিন ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। ওই কমিটিও মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ মেলার কথা জানানো হয়েছে।
মোকলেছুর খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি খুলনার পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গত ১ মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বাড়ি যশোর সদরের দৌলদিহি এলাকায়।
এদিকে মামলার পরপরই এক বিবৃতির মাধ্যমে মোকলেছুরকে বরখাস্ত করার কথা জানায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।