কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে সন্ধ্যার আলো মিলিয়ে আসছিল। স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছিল ২৫৯/৯ – ভারতের রান। শেষ ওভার, শেষ বল। মাত্র ৬ রান দরকার ভারতের জয়ের জন্য। স্টাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ব্যাটসম্যান মহসিন খান। গভীর শ্বাস নিয়ে দৌড়ালেন তানজিম। ফুল-টস ডেলিভারি। মহসিন স্লোগ করলেন, বল উড়ে গেল মিড-অফের দিকে। দৌড়ে এলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বল ধরার মুহূর্তেই পুরো বাংলাদেশ দল ছুটে এলো মাঠে। চিৎকার, আনন্দের অশ্রু, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা – বাংলাদেশ জিতেছে ৬ রানে! এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোর ম্যাচের এই চূড়ান্ত মুহূর্তটি কেবল একটি ক্রিকেট ম্যাচের ফলাফল নয়, এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের আত্মবিশ্বাস, সংকল্প এবং অদম্য লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠল। সেই রাতের প্রতিটি মুহূর্তে মিশে ছিল লাল-সবুজের স্বপ্ন, সাধনা আর এক ঐতিহাসিক বিজয়ের গৌরবগাথা।
বাংলাদেশ বনাম ভারত এশিয়া কাপ ২০২৩: প্রেক্ষাপট ও ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি
এশিয়া কাপের প্রাক-পর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মোটেও আশাব্যঞ্জক ছিল না। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়, তারপরও সুপার ফোরে জায়গা করে নেয়া। অন্যদিকে ভারত, শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে ঢুকেছে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ছিল আত্মসম্মান রক্ষার লড়াই, আর ভারতের জন্য ফাইনালে যাওয়ার সোপান। টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, যা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটির আত্মবিশ্বাস ছিল অন্য রকম। শুরুতেই কিছু চাপ সামলালেও, তানজিদ হাসান তামিমের আক্রমণাত্মক ৫০ রানের ইনিংস (৫১ বলে ৫১ রান, ৫ চার ও ৩ ছক্কা) এবং পরবর্তীতে শাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল অর্ধশতক (৮০ বলে ৮০ রান, ৬ চার ও ১ ছক্কা) বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক টার্গেটে পৌঁছে দিয়েছিল। বিশেষ করে শাকিবের ইনিংসটি ছিল অভিজ্ঞতার এক অনবদ্য প্রদর্শনী, যেখানে তিনি ভারতের স্পিন আক্রমণকে মোকাবেলা করেছিলেন অপূর্ব কৌশলে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২৬৫ রানের টার্গেট দাঁড় করায়, যা এই পিচে প্রতিরক্ষামূলকভাবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই ইনিংস গড়ার ক্ষেত্রে তৌহিদ হ্রদয়ের দ্রুত ৫৪ রানের অবদানও ছিল অপরিসীম।
ম্যাচের সেরা মুহূর্তগুলি: বাংলাদেশের বিজয়ের মূল কারিগররা
এই ঐতিহাসিক জয়ে কয়েকটি মুহূর্ত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, যেগুলো ম্যাচের গতিপথ সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিল:
শুরুতেই আঘাত: মোস্তাফিজের জোড়া স্ট্রাইক!
ভারতের ইনিংসের শুরুতেই মোস্তাফিজুর রহমান ঝড় তুলেছিলেন। প্রথম ওভারেরই চতুর্থ বলেই তিনি ভারতের বিপজ্জ্বনক ওপেনার রোহিত শর্মাকে (শূন্য রানে) ক্লিন বোল্ড করে পাঠান প্যাভিলিয়নে। মাত্র দুই বল পরেই, ওভারের শেষ বলটিতেই তিনি বিরাট কোহলিকে (পাঁচ রানে) কট বিহাইন্ডে ফেলেন। ভারতের দুই তারকা ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার দৃশ্য বাংলাদেশের বোলারদের মনোবল চাঙ্গা করে তোলে। মোস্তাফিজের এই জোড়া উইকেট (২/২২) ভারতকে শুরু থেকেই পিছিয়ে দিয়েছিল। এই আঘাতের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ভারতের বেশ সময় লেগেছিল।
তানজিম সাকিবের ঐতিহাসিক ডাবল স্ট্রাইক: ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ওভার
ভারত যখন ক্রিজে গড়ে তুলেছিল শুভমান গিল ও কে এল রাহুলের শক্তিশালী জুটি, তখন হাজির হন তানজিম হাসান সাকিব। তার ৪৩তম ওভারটি বাংলাদেশের জয়ের পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি করে। প্রথমে তিলক বর্মাকে (পাঁচ রানে) একটি উত্কৃষ্ট বাউন্সারে কট বিহাইন্ডে পরিণত করেন। পরের বলেই তিনি কে এল রাহুলকে (১৯ রানে) আউট করেন, যিনি স্লিপে সহজ ক্যাচ দেন। এক ওভারে দুই উইকেট শিকার করে তানজিম পুরো ম্যাচের গতিই বদলে দেন। তার এই অসাধারণ স্পেল (৩/৩২) তরুণ এই পেসারের মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। এই ওভারের পর থেকেই ভারতের রান রেট আরও চাপের মধ্যে পড়ে যায়।
শুভমান গিলের সেঞ্চুরি ও নাসুম আহমেদের ক্রান্তিলগ্নে উইকেট
শুভমান গিল পুরো ম্যাচজুড়ে একাই ভারতের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি পেলেন তার ষষ্ঠ ওডিআই সেঞ্চুরি (১২১ রান, ১৩৩ বল, ৮ চার, ৫ ছক্কা)। গিল যখন ক্রিজে, তখন ভারতের জয় সহজ মনে হচ্ছিল। কিন্তু নাসুম আহমেদের মতো অভিজ্ঞ স্পিনারের সামনে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি তিনি। নাসুমের এক সুন্দর ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে গিল ক্যাচ দেন ডিপ মিডউইকেটে শামিম হোসেনের হাতে। এই উইকেটটি (নাসুমের ২/৪১) ছিল ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট। গিলের বিদায়ের পর ভারতের মধ্যযাত্রার ব্যাটসম্যানরা আর চাপ সামলাতে পারেননি।
শামিম হোসেনের শেষ ওভারের হিম্মত: চাপে নিখুঁত বোলিং
ম্যাচের চূড়ান্ত ওভারে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ১২ রান। এই দায়িত্ব পড়ে শামিম হোসেনের কাঁধে। অভিজ্ঞতার অভাবে টেনশন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শামিম নার্ভ অফ স্টিল দেখালেন। তিনি প্রথম তিন বলেই মাত্র ৫ রান দেন, যার মধ্যে দুটি ছিল ডট বল। চতুর্থ বলেও মাত্র এক রান। পঞ্চম বলটিতে রবীন্দ্র জাদেজা একটি বাউন্ডারি মারলেও তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ বলটিতে মহসিন খান স্লোগ করতে গিয়ে ক্যাচ দিলে ম্যাচের ফলাফল সুনিশ্চিত হয়। শামিমের এই ওভার (১/৪২) শেষ মুহূর্তে চাপ সামলানোর অসাধারণ ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।
খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স: তারকারা কীভাবে উজ্জ্বল হয়েছিলেন
এই জয় ছিল সামষ্টিক প্রচেষ্টার ফল, যেখানে প্রায় প্রতিটি খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন:
- শাকিব আল হাসান (অধিনায়ক): শুধু ৮০ রানের মূল্যবান ইনিংসই নয়, তার নেতৃত্বগুণও প্রশংসনীয় ছিল। ফিল্ড সেটিং, বোলিং চেঞ্জ এবং তরুণ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনবদ্য। তার অভিজ্ঞতা ম্যাচের নাজুক মুহূর্তগুলোতে বাংলাদেশকে স্থির থাকতে সাহায্য করেছিল।
- তানজিম হাসান সাকিব (তরুণ পেসার): মাত্র ২০ বছর বয়সী এই তরুণের পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো। ম্যাচ সেরা ৩/৩২ এবং বিশেষ করে তার জাদুকরী ওভারটি বাংলাদেশের বিজয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। তার গতি, সুইং এবং স্নায়ুর দৃঢ়তা তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
- তানজিদ হাসান তামিম (ওপেনার): শুরুতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ভারতের বোলারদের চাপে ফেলার কৃতিত্ব তার। দ্রুত অর্ধশতক ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণে সহায়ক হয়েছিল।
- মোস্তাফিজুর রহমান (সিনিয়র পেসার): শুরুতেই রোহিত-কোহলির মতো জায়ান্টদের উইকেট শিকার করে ম্যাচের সূচনা করেছিলেন অগ্নিগর্ভভাবে। তার বোলিং (২/২২) ভারতকে শুরুতেই পিছিয়ে দিয়েছিল।
- নাসুম আহমেদ (স্পিনার): মাঝারি ওভারে নিয়মিত উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। শুভমান গিলের মূল্যবান উইকেটটি তার হাত ধরে এসেছিল, যা ম্যাচের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
এই জয়ের তাৎপর্য: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের দিগন্ত
কলম্বোর এই রাত শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বিন্দু:
- মানসিক দৃঢ়তার বিজয়: অতীতে নাজুক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রায়ই হেরে যেত। কিন্তু এই ম্যাচে তারা চাপের মুখে নার্ভ অফ স্টিল দেখিয়েছে, বিশেষ করে শেষ ওভারে শামিম হোসেনের বোলিং এবং তানজিম সাকিবের অসাধারণ ওভার।
- তরুণ প্রতিভাদের উত্থান: তানজিম সাকিব, তানজিদ হাসান, শামিম হোসেনের মতো তরুণেরা প্রমাণ করেছেন তারা বড় মঞ্চে খেলার যোগ্য। তাদের পারফরম্যান্স বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করে তুলেছে।
- বিশ্ব মঞ্চে আত্মবিশ্বাস: শক্তিশালী ভারতীয় দলকে হারানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে তারা বিশ্বের যে কোনো শীর্ষ দলের বিরুদ্ধে জয়ী হতে সক্ষম। এই জয় বিশ্বকাপসহ অন্যান্য বড় টুর্নামেন্টে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
- লিডারশিপের স্বীকৃতি: শাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার অভিজ্ঞতা, কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং ক্রিজে দায়িত্বশীল ইনিংস নেতৃত্বের গুণাবলীর পরিচয় দিয়েছে।
- বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সক্ষমতার প্রমাণ: এই জয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সক্ষমতা, প্রতিভা এবং লড়াইয়ের মানসিকতার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন পরিপক্বতার এক নতুন স্তরে পৌঁছেছে।
এই ঐতিহাসিক রাত শুধু একটি ক্রিকেট ম্যাচের জয় নয়, এটি লাল-সবুজের হৃদয়ে অমর এক অধ্যায়ের সংযোজন। তানজিম সাকিবের তীব্র গতির বল, শাকিবের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং, মোস্তাফিজের প্রারম্ভিক ধাক্কা, নাসুমের অভিজ্ঞতাপূর্ণ স্পিন, শামিমের শেষ ওভারের হিম্মত – প্রতিটি মুহূর্ত একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলে উঠেছে। বাংলাদেশ বনাম ভারত এশিয়া কাপ ২০২৩ ম্যাচটি শুধু স্কোরকার্ডের সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি আবেগের জয়, তরুণ প্রতিভার উত্থান এবং এক জাতির অদম্য লড়াইয়ের প্রতীক। এই জয় আমাদের শিখিয়েছে যে বিশ্বাস আর একাগ্রতা থাকলে, যে কোনো দৈত্যকেও পরাজিত করা সম্ভব। এখনই সময় সম্মিলিত কণ্ঠে গর্জে উঠবার – “জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ!” এই বিজয়ের অনুপ্রেরণাকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাক আমাদের ক্রিকেট, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। আপনার কী মনে হয় এই জয় আমাদের ক্রিকেটকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবে? নিচের মন্তব্যগুলোতে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।
জেনে রাখুন
বাংলাদেশ বনাম ভারত এশিয়া কাপ ২০২৩ ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অবস্থিত আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। এই মাঠটি এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোর ও ফাইনাল ম্যাচের আয়োজক ভেন্যু ছিল। কলম্বোর আবহাওয়া ও পিচের অবস্থা ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানকারী কে ছিলেন?
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানকারী ছিলেন অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তিনি ৮০ রানের একটি মূল্যবান ইনিংস খেলেন, যা ৮৫ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে গড়ে উঠেছিল। তার এই ইনিংস বাংলাদেশকে ২৬৫ রানের সম্মানজনক লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল।
ভারতের পক্ষে কে সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং তার উইকেটটি কে নেন?
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানকারী ছিলেন শুভমান গিল। তিনি একাই লড়াই চালিয়ে যান এবং ১২১ রানের একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। তার এই ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত নাসুম আহমেদের বোলিংয়ে শেষ হয়। নাসুমের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে গিল ক্যাচ দেন ডিপ মিডউইকেটে শামিম হোসেনের হাতে।
ম্যাচের শেষ ওভারে কে বোলিং করেছিলেন এবং কী ঘটেছিল?
ম্যাচের শেষ ওভারে বোলিং করেছিলেন বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডার শামিম হোসেন। ভারতের তখন দরকার ছিল ১২ রান। শামিম অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চাপ সামলে প্রথম তিন বলেই মাত্র ৫ রান দেন (দুটি ডট বল সহ)। শেষ তিন বলেও তিনি মাত্র ৬ রান দেন। শেষ বলটিতে মহসিন খান ক্যাচ আউট হলে বাংলাদেশ ৬ রানে জয়লাভ করে। শামিমের এই ওভারটি শেষ মুহূর্তে তার মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ২০২৩ অভিযান কীভাবে শেষ হয়েছিল?
এই জয় বাংলাদেশকে এশিয়া কাপ ২০২৩-এর ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। সুপার ফোর পর্বে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠলেও, সেখানে তারা আবারও শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়। দুর্ভাগ্যবশত, ফাইনাল ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হয়েছিল। তবে ভারতকে হারানোর এই জয়টি ছিল বাংলাদেশের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল অর্জন।
তানজিম হাসান সাকিবের ঐতিহাসিক ওভারটিতে কাদের উইকেট পড়েছিল?
তানজিম হাসান সাকিবের ঐতিহাসিক ওভারটি (৪৩তম) ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এই ওভারের প্রথম বলেই তিনি তিলক বর্মাকে (৫) কট বিহাইন্ডে আউট করেন। পরের বলেই তিনি ভারতের অভিজ্ঞ ও বিপজ্জ্বনক ব্যাটসম্যান কে এল রাহুলকে (১৯) আউট করেন, যিনি স্লিপে সহজ ক্যাচ দেন। এক ওভারে এই দুই উইকেট ভারতের রান চেজকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।