ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক ডিজিটাল মুদ্রা। শুধুমাত্র ইন্টারনেট জগতেই মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। বাস্তবে এ ধরনের মুদ্রার কোন অস্তিত্ব নেই। এটি এমন এক ধরনের মুদ্রা, যা কোন দেশের সরকার গতানুগতিক নোট টাকার মতো করে ছাপায় না। বরং এই অর্থ বা ভার্চুয়াল মুদ্রাগুলো তৈরি করা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দ্বারা অসংখ্য কোডের মাধ্যমে।
এই টিউনে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি এখনও পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই টিউন টি সম্পূর্ণ Continue করতে থাকুন; আজকের এই টিউন এর মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক ডিজিটাল মুদ্রা। শুধুমাত্র ইন্টারনেট জগতেই মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। বাস্তবে এ ধরনের মুদ্রার কোন অস্তিত্ব নেই। এটি এমন এক ধরনের মুদ্রা, যা কোন দেশের সরকার গতানুগতিক নোট টাকার মতো করে ছাপায় না। বরং এই অর্থ বা ভার্চুয়াল মুদ্রাগুলো তৈরি করা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দ্বারা অসংখ্য কোডের মাধ্যমে।
এই টিউনে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি এখনও পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই টিউন টি সম্পূর্ণ Continue করতে থাকুন; আজকের এই টিউন এর মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
২০০৮-২০০৯ সালের দিকে সাতোশি নাকামোতো নামের এক ছদ্মবেশী চরিত্র এই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এর জনক হিসেবে পরিচিত; কিন্তু এই সাতোশি নাকামোতো আসলে কে, তা কেউ জানে না।
এটি কি কোন একক ব্যক্তির নাম, নাকি একদম সফটওয়্যার বিজ্ঞানী, তাও জানা যায় না। তবে সাতোশি নাকামোতো কে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন এর জনক বলা হয়।
প্রকৃত সাতোশি নাকামোতো হয়তোবা এটিও চায় না যে, কেউ তাকে খুঁজে বের করুক অথবা তারপরিচয় সম্পর্কে জানুক। ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল ধারণাই হলো যে কেউ তারপরিচয় গোপন করে নিরাপদে সাধারণ মুদ্রার মতোই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে লেনদেন করাই যেহেতু গোপনীয়তার সঙ্গে হয়ে থাকে, তাই সঙ্গত কারণে হয়তোবা ক্রিপ্টোকারেন্সি এর জনকের পরিচয় এখনো অজানা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে পরিচয় এর প্রয়োজনীয়তা আছে?
ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট খুলতে ব্যবহারকারীরা নাম, ঠিকানা বা ব্যক্তিগত তথ্যের কোন ধরনের প্রয়োজন হয় না। ক্রিপ্টোকারেন্সি সরাসরি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ওয়ালেটে ট্রান্সফার হয়। এক্ষেত্রে দুই ব্যক্তির মাঝে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের মাঝখানে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নজরদারি করতে পারেনা।
যেহেতু দুই ব্যক্তির মাঝে নজরদারি করার ক্ষেত্রে কোনো তৃতীয় পক্ষ নেই, তাই ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করার ক্ষেত্রে এখানে কেউ নজরদারি করতে পারে না। এক্ষেত্রে কোনো একজন ব্যক্তির কাছে বিটকয়েন ট্রান্সফার করে যদি কোনভাবে কেউ প্রতারিত হয়, তাহলে সেই অর্থ ফেরত আনা অথবা সেই অর্থের ব্যাপারে কোন ধরনের অভিযোগ করার কোন উপায় থাকেনা।
বিটকয়েন ব্যবহার করে লেনদেন করার ক্ষেত্রে যেহেতু কোন ধরনের মনিটরিং করা হয় না, তাই মাদক চোরাচালান, অবৈধ ব্যবসা ইত্যাদি কাজের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন হয়। কেননা এখানে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করলেও ব্যাংক থেকে কোন ধরনের নোটিশ করা হবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করার ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো তৃতীয় পক্ষ সেবা প্রদান করে না, তাই এখানে কোনো বাড়তি চার্জ ও নেই। অর্থাৎ, উভয় লেনদেনের মাঝে কোন ধরনের চার্জ কেটে নেওয়া হয় না।
বিটকয়েন ব্যতীত আরো যত সব ক্রিপ্টোকারেন্সি
সাতোশি নাকামোতো এর আবিষ্কৃত প্রথম মুদ্রার নাম বিটকয়েন। বিটকয়েন এর সফলতা এবং জনপ্রিয়তারপর এরকম অসংখ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে চার হাজারেরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। Ethereum Litecoin, Gold coin সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
তবে এসবের মধ্য থেকে বর্তমানে বিটকয়েন এর দাম সর্বোচ্চ। এছাড়া বর্তমানে বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী আরো অনেক কিছু কারেন্সি রয়েছে, যেগুলোর দাম ও বর্তমানে আস্তে আস্তে বাড়ছে। বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এর পরিমাণ যেহেতু একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে, তাই এর চাহিদা অনুপাতে এর দাম বাড়বে অথবা কমবে।
যদি কোনো এক সময়ে মানুষ বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি আর সংগ্রহ না করে, তাহলে সে সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েনের দাম কমে যাবে। আর দিন দিন যত মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েনের দিকে আগ্রহ দিবে, এক্ষেত্রে এগুলোর দাম তখন বেড়ে যাবে বা যায়।
সর্বপ্রথম সাতোশি নাকামোতো এর যে আবিষ্কারের কারণে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল, তার নাম ব্লকচেইন। চলুন তবে, ব্লক-চেইন সম্পর্কে সামান্য একটু ধারণা নেওয়া যাক।
ব্লক-চেইন কি?
ব্লক-চেইন হলো, তথ্য সংরক্ষণের এক নতুন পদ্ধতি। ব্লক-চেইন কে বলা যায় এক ধরনের লেজার বা হিসাবের খাতা; যা ব্যাংকের মতো ডিজিটাল অর্থনৈতিক লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করে। কিন্তু এই লেনদেনের হিসাব কোন প্রতিষ্ঠান কাছে কুক্ষিগত থাকে না; বরং এই লেনদেনের তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে দেখা যায়। এবং প্রতিটি লেনদেন ঘটার সাথে সাথেই হিসেবের খাতা আপডেট হয়ে যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এর বিশাল হিসেব মিলানো সহজ কাজ নয়, আবার এই কাজ করার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ও নেই। এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য একদল লোক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে থাকে, এক্ষেত্রে তাদের পরিশ্রম করার বিনিময় হিসেবে বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লক-চেইন সিস্টেম তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রদান করে থাকে।
Android ফোন ইউজারের জন্য সতর্কবার্তা, আনইন্সটল করুন এই ক্ষতিকর অ্যাপ
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে ডিজিটাল অর্থ উপার্জন কে বলা হয় মাইনিং। মাইনিং করার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটার এর প্রয়োজন হয়। এছাড়া এ কাজে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিটকয়েন মাইনিং এর মাধ্যমে বিটকয়েন উপার্জন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।