Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ক্রোয়েশিয়ার জানা-অজানা তথ্য
    অন্যরকম খবর

    ক্রোয়েশিয়ার জানা-অজানা তথ্য

    ক্রোয়েশিয়ার জানা-অজানা তথ্য
    December 15, 20224 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক: পর্বত, অরণ্য, আঙুরের ক্ষেত আর প্রাচীন গ্রামের দেশ ক্রোয়েশিয়া। দেশটি ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম প্রজাতন্ত্রী ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়ার আয়তন ৫৬,৫৯৪ বর্গ কি.মি.। এর জনসংখ্যা চার কোটি ২৮ লাখ, যাদের অধিকাংশই রোমান ক্যাথলিক। দেশটির রাজধানী জাগরেব।

    ক্রোয়েশিয়া-১

    জাগরেব ক্রোয়েশিয়ার বৃহত্তম নগরী ও দেশটির সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। এটি ক্রোয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিম ভাগে, মেদভেদনিকা পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে, সমুদ্রতল থেকে আনুমানিক ১২২ মিটার উচ্চতায়, সাভা নদীর বন্যাপ্লাবিত অববাহিকা অঞ্চলে অবস্থিত।

    পর্বতগুলোর উত্তরে জাগোরিয়ে নামক অরণ্য, আঙুরের ক্ষেত, গ্রাম ও প্রাচীন দুর্গবিশিষ্ট অঞ্চলটি অবস্থিত। জাগরেব জলবায়ু গ্রীষ্মকালে তপ্ত ও শীতকালে শীতল প্রকৃতির হয় । ২০১৮ সালে মূল নগরীটির জনসংখ্যা ছিল ৮ লক্ষের সামান্য বেশি। বৃহত্তর জাগরেব পৌরপিণ্ড এলাকার জনসংখ্যা ১০ লক্ষ ৮৬ হাজারের কিছু বেশি,যা ক্রোয়েশিয়ার সমগ্র জনসংখ্যার আনুমানিক এক-চতুর্থাংশ।

    জাগরেব ক্রোয়েশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। এখানকার শিল্পকারখানাগুলিতে ভারী যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক, ধাতব ও রাসায়নিক দ্রব্যাদি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, কাগজের দ্রব্য, জুতা ও চামড়াজাত দ্রব্য, বস্ত্র ও পোশাক প্রস্তুত করা হয়। নগরের পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় ইউরোপ থেকে আড্রিয়াটিক সাগর ও বলকান উপদ্বীপ অঞ্চলে গমনকারী মহাসড়ক ও রেলপথগুলোর একটি সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে প্রতি বছর একটি বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হয়।

    জাগরেব আধুনিক ক্রোয়েশিয়ার সংস্কৃতির হৃৎকেন্দ্র। এখানে ক্রোয়েশিয়ার বিজ্ঞান ও শিল্পকলা অ্যাকাডেমি এবং ১৬৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। এছাড়া এখানে একাধিক শিল্পকলা প্রদর্শনীকেন্দ্র, গীতিনাট্যশালা, ইতিহাস ও বিজ্ঞান জাদুঘর, এবং শিল্পকলা, নাট্য ও সঙ্গীত অ্যাকাডেমি অবস্থিত।

    অনেকদিন ধরেই বিদেশি শাসনের অধীনে থাকা সত্ত্বেও জাগরেবের ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও অটুট। এখানে এখরো বহু মধ্যযুগীয় ভবন, ১৮শ শতকে নির্মিত একটি প্রাসাদ ও ১১শ শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক একটি মহাগির্জা দাঁড়িয়ে আছে। গোথিক শৈলীতে নির্মিত সাধু মার্কের মহাগির্জা বা ক্যাথেড্রাল, ১৫শ শতকে নির্মিত ও সৌষ্ঠব ভঙ্গিতে উদীয়মান গির্জাশিখর সংবলিত সাধু স্টিভেনের মহাগির্জা এবং পুরাতন মহাশিল্পীদের অনেকগুলো চিত্রকর্ম সংবলিত স্ট্রসমায়ার চিত্রশালাটি উল্লেখ্য। নগরকেন্দ্র থেকে উত্তর দিকে পুরাতন গ্রাদেক ও কাপতোল শহরগুলোর দিকে দুইটি প্রশস্ত সবুজ বেষ্টনি চলে গেছে, এবং এগুলোতে বহুসংখ্যক জাদুঘর, চিত্রশালা ও প্রশস্ত চত্বর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

    জাগরেব এখন যে এলাকায় অবস্থিত, সেখানে স্লাভীয় গোত্রের লোকেরা খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতকে বসতি স্থাপন করেছিল। ১০৯৩ সালে একই এলাকায় একটি রোমান ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যাকে কেন্দ্র করে অপর একটি বসতি গড়ে ওঠে, যার নাম ছিল কাপ্তোল। মধ্যযুগে বহু শতাব্দী ধরে এই দুইটি নাগরিক ও ধর্মীয় বা যাজকীয় শহর সহাবস্থান করে ছিল এবং তারা ক্রোয়েশিয়ার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠন করেছিল।

    ১০ম শতকে নাগরিক শহরটিকে ক্রোয়েশিয়া রাজতন্ত্রের রাজধানী বানানো হয়। ১১শ শতকের শেষভাগে এসে এই শহর দুইটি হাঙ্গেরির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ১২৪২ সালে নাগরিক শহরটি একটি হাঙ্গেরীয় মুক্ত রাজকীয় নগরীর মর্যাদা লাভ করে। এটি একটি স্বশাসিত সামন্ততান্ত্রিক লোকালয়ে পরিণত হয়। ১৩শ শতকে তুর্কিদের আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষার জন্য নাগরিক শহরটির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ করা হয় এবং এর নাম হয় গ্রাদেক, অর্থাৎ ‘দুর্গশহর’।

    ১৬শ শতকে ধর্মীয় কাপ্তোল শহরটিকেও দুর্গ দিয়ে প্রতিরক্ষা প্রদান করা হয়। ৩০০ বছর ধরে সম্প্রসারিত হতে হতে ১৯শ শতকে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই লোকালয় শেষ পর্যন্ত একত্রিত হয় এবং নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হয় ও দক্ষিণদিকে সাভা নদীর বন্যাপ্লাবিত সমভূমিতে এটি সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। নতুন এই শহরে অনেক উন্মুক্ত চত্ত্বর ও নগর উদ্যান নির্মাণ করা হয়। ১৭শ শতক থেকেই অনানুষ্ঠিকভাবে এই পৌর অঞ্চলটিকে ‘জাগরেব’নামে ডাকা শুরু হয়।

    ক্রোয়েশিয়া

    ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে এসে প্রশাসনিকভাবে গ্রাদেক ও কাপ্তোলকে একত্রিত করে ‘জাগরেব’(এবং জার্মান ভাষায় ‘আগ্রাম’) নাম দেওয়া হয়। ১৮৬৭ সালে জাগরেব নগরীকে হাঙ্গেরির অধীনস্থ ক্রোয়েশিয়া ও স্লাভোনিয়া রাজ্যের রাজধানী বানানো হয়। ১৯শ শতকে ক্রোয়েশীয় জাতীয়তাবাদের পুনরুত্থানের সময় জাগরেব একই সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন ও একটি সর্ব-যুগোস্লাভীয় আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল। ২০শ শতকের শুরুতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯১৮ সালে ক্রোয়েশিয়া অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং একীভূত সার্বীয়, ক্রোয়েশীয় ও স্লোভেনীয় রাজ্যের একটি অংশে পরিণত হয়, যা পরবর্তীতে ১৯২৯ সালে নাম বদলে যুগোস্লাভিয়া নামক দেশে পরিণত হয়।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির শাসনাধীনে জাগরেব একটি অধীনস্থ ক্রোয়েশীয় রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাগরেব অক্ষশক্তির অধীনস্থ পুতুলরাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী ছিল। ১৯৪৫ সালের মে মাসে মার্শাল টিটো নগরীটিকে জার্মানদের হাত থেকে মুক্ত করেন এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৪৫ সালে ক্রোয়েশীয় রাজ্যটি যুগোস্লাভীয় ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্র হিসেবে পুনরায় যুগোস্লাভিয়াতে যোগ দেয়। ১৯৯১ সালে ক্রোয়েশিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুগোস্লাভিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং জাগরেব এই নতুন রাষ্ট্রের রাজধানীতে পরিণত হয়। কিন্তু এর পর দেশটির বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, তাতে জাগরেব নগরীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৯৯৫ সালে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি পরে নগরীটিকে আবার নতুন করে গড়ে তোলা হয়।

    ক্রোটরা ৬ষ্ঠ শতকে এখানে আসে এবং নবম শতাব্দির মধ্যেই তারা অঞ্চলটিকে দুইটি জমিদারিত্বের মাধ্যমে সুসংগঠিত করে তোলে। ৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তোমিসলাভ প্রথম রাজা হিসেবে আভির্ভূত হন এবং তিনি ক্রোশিয়াকে রাজ্যে উন্নীত করেন, যেটি প্রায় দুই শতকেরও বেশি সময় ধরে তার সার্বভৌমত্ব ধরে রেখেছিল। রাজা চতুর্থ পিটার ক্রেসিমির এবং দিমিতার জভনমিরির আমলে দেশটি তার উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছায়।

    ক্রোয়েশিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোতে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী একটি বহুদলীয় ব্যবস্থাতে সরকার প্রধান। নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে এবং আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ক্রোয়েশীয় সংসদ বা সাবর-এর হাতে ন্যস্ত। বিচার ভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ হতে স্বাধীন। ক্রোয়েশিয়ার বর্তমান সংবিধান ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর গৃহীত হয়। দেশটি ১৯৯১ সালের ২৫ জুন প্রাক্তন ইউগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

    সূত্র: উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য ওয়েবসাইট

    সৌদি আরবের সৌন্দর্য বিমোহিত বিদেশি পর্যটকরা

     

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অন্যরকম ক্রোয়েশিয়ার খবর জানা-অজানা তথ্য
    Related Posts
    কর্মঘণ্টা

    বার্ষিক বেতন ৩০ কোটি, কর্মঘণ্টা প্রায় নগণ্য, তবুও কেউ করতে রাজি নয়

    May 26, 2025
    অপটিক্যাল ইলুউশন

    ছবিটি জুম করে দেখুন, বলতে পারবেন কে দাঁড়িয়ে আছে এবং কে বসে?

    May 22, 2025
    Sap

    খাবার না পেয়ে নিজের লেজই কামড়ে খাচ্ছে এই সাপ, ভাইরাল ভিডিও

    May 22, 2025
    সর্বশেষ খবর
    BGB

    চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

    Lather

    নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছে না সাভারের আড়তদাররা

    Rain

    টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    DMC

    ঢাকায় কোরবানি করতে গিয়ে আহত শতাধিক

    Deepika

    মুম্বাইয়ের বৃষ্টিতে ভিজে দীপিকার প্রথম প্রেম, কে সেই প্রেমিক?

    Starlink

    কোন কোন দেশে স্টারলিঙ্ক সক্রিয়? কোথায় কত খরচ?

    WhatsApp

    হোয়াটসঅ্যাপে ফোন নাম্বার গোপন রাখবেন যেভাবে

    প্রথমবারের মতো বাংলা ছবিতে সঞ্জয় মিশ্র, সঙ্গী ঋত্বিক-সোহিনী!

    Soudi Visa

    বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৪ দেশকে ভিসা দেবে না সৌদি আরব

    Red Meat

    লাল মাংস খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.