আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ১০০ নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারির পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্টের। সীমান্ত সংকট, অভিবাসী প্রত্যাবাসনসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নানা ইস্যুতে ধাপে ধাপে জারি করা হবে এসব আদেশ। খবর এপি
ক্যাপিটল হিলে রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে ব্যক্তিগত এক বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ ও আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই শুরু করবেন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ। কিছু নির্বাহী আদেশের তাৎপর্য থাকলেও বাকিগুলো মূলত আভাস দেবে, কীভাবে আগামী চার বছর দেশ শাসন করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বৈঠকে ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার রিপাবলিকান সিনেটরদের উপস্থিতিতে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণসম্পর্কিত পদক্ষেপগুলোর খসড়া তুলে ধরেছেন। যেসব পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শিগগিরই শুরু হতে পারে। বৈঠক শেষে নর্থ ডাকোটা অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত সিনেটর জন হোভেন এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হতে যাচ্ছে।’
ট্রাম্পের মিত্ররা বিভিন্ন বিষয়ে অনেক নির্বাহী আদেশ প্রস্তুত করছেন, যেগুলোতে ট্রাম্প দ্রুত সই করতে পারেন। এই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত নিরাপত্তা, জ্বালানি উন্নয়ন, ফেডারেল কর্মী নীতিমালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিঙ্গসম্পর্কিত নীতিমালা, টিকাসম্পর্কিত নীতিমালা এবং তার নির্বাচনি প্রচারে প্রতিশ্রুত অন্যান্য ইস্যু।
হোয়াইট হাউসের প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী পদক্ষেপ নেওয়া সাধারণ অনুশীলন। কারণ নতুন প্রেসিডেন্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার প্রণয়ন করতে চান। তবে ট্রাম্প এবং তার সহযোগীরা যা পরিকল্পনা করছেন তা আধুনিক সময়ে নজিরবিহীন একটি নির্বাহী পদক্ষেপ। কারণ তিনি ক্ষমতা ব্যবহারের সাধারণ পদ্ধতিকে (কংগ্রেসের অনুমোদন) পাশ কাটিয়ে যেতে চলেছেন এবং একটি অপরীক্ষিত উপায় অবলম্বন করতে যাচ্ছেন।
ক্যাপিটল হিলে সিনেটরদের সঙ্গে ট্রাম্পের দীর্ঘ আলোচনার পর জানা গেছে, নতুন প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের অসংখ্য নির্বাহী আদেশ বাতিল করবে এবং তার জায়গায় রিপাবলিকানরা নিজেদের প্রস্তাব কার্যকর করবেন। এ ছাড়া বৈঠকে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা হয়, যে কাজটি ট্রাম্প আগেরবার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন শুরু করেছিলেন। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বন্দিশালা (ডিটেনশন ক্যাম্প) নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়, যেখানে তাদের বহিষ্কৃত হওয়ার আগ পর্যন্ত রাখা হবে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড প্রয়োজন, যা জোগাতে ট্রাম্প প্রশাসন এবং রিপাবলিকান কংগ্রেসপারসনরা কাজ শুরু করেছেন।
এর আগে ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারের সময় মজাচ্ছলে বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে তার প্রথম দিনে তিনি অফিসে একটি ছোট ডেস্ক বসাবেন, যেখানে বসে তিনি নিজ ইচ্ছেমতো নির্বাহী আদেশ জারি করবেন, অবশ্য তা প্রথম দিনের জন্যই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।