জুমবাংলা ডেস্ক : স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে ভাতার কার্ড সুবিধা নেওয়ায় ক্ষমা চাইলেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কামরুজ্জামান মজুমদার। অবশেষে তার এই অনিয়মের দায়ভার স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন ওই ইউপি সদস্য।
পরিবারের সদস্যদের নামে সরকারের দেয়া একাধিক সুবিধার কার্ড বানিয়ে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনায় গত মঙ্গলবার তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব দেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান।
জবাবে কামরুজ্জামান লিখেছেন, ইউপি সদস্য হিসেবে তিনি পরিবারের সদস্যদের নামে যে সুবিধা নেয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিল তা ঠিক হয়নি। এমন কৃতকর্মের জন্যে এবারের মত ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেছেন ক্ষমা করলে আমি স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করবো।
ইউপি সদস্যের ভাতার বই পাওয়ার ব্যাপারে অন্য যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম। তারাও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিবেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান তার স্ত্রী, ছেলে, দুই শালিকা আর শ্বশুর-শাশুড়ির নামে ভাতার কার্ড করে টাকা তুলে আসছিলেন। গত কয়েক দিন আগে স্ত্রী ও শালিকাকে বিধবা ভাতার কার্ড দিয়ে সুবিধা নেয়ার সংবাদ প্রকাশিত হলে এই বিষয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।