আপনার কি প্রায়ই দুপুরের খাবারের পরে ঘুম পায়? নাকি তখন কফি পান করেন আরও বেশি কাজ করতে পারেন? এগুলি খাবার-পরবর্তী এনার্জি ক্র্যাশের লক্ষণ যা খুবই সাধারণ। কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এমন খাবার খাওয়ার ফলে কার্বোহাইড্রেট গ্লুকোজে ভেঙে যাওয়ার কারণে রক্তে শর্করা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি অতিরিক্ত গ্লুকোজ পরিচালনা করতে ইনসুলিনের স্পাইককে ট্রিগার করে, যা রক্তে শর্করার দ্রুত হ্রাসের দিকে নিয়ে যায়। ফলাফল হলো এনার্জি ক্র্যাশ, যার ফলে আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। আপনি যদি খাবার খাওয়ার পরেও ক্লান্ত বোধ করেন তবে এটি উচ্চ-কার্বযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে। আপনার খাদ্যাভাসে সাধারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।
পোস্ট-প্রান্ডিয়াল ওয়াক
খাওয়ার পরে অল্প হাঁটাহাঁটি হলো খাবার-পরবর্তী এনার্জি ক্র্যাশ পরিচালনা করার সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজ উপায়। আপনার শক্তির মাত্রা ধরে রাখতে প্রতি খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। এটি একটি সহজ এবং শক্তিশালী অভ্যাস যা আপনার পাচনতন্ত্রকে সাহায্য করে। আপনার প্রতিদিনের হাঁটার সময় গ্লুকোজ স্পাইককে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ হাঁটলে আর ঘুমও পাবে না।
আমাদের মধ্যে অনেকেই এই সমস্যা মোকাবিলায় লাঞ্চের পরে কফি পান করে থাকেন। কিন্তু এই হাঁটা সেই প্রয়োজনকেও কমাতে সাহায্য করতে পারে। দুপুর ৩টার পরে কফি এড়িয়ে চললে তা আপনাকে রাতে ভালো ঘুমে সাহায্য করবে। আপনার কাজের রুটিনে মধ্যাহ্নভোজের পর সংক্ষিপ্ত হাঁটার অভ্যাস আপনার মনও ভালো রাখতে কাজ করবে। আপনার শরীর এবং মনের জন্য এটি একটি মিনি রিসেট বোতাম হিসেবে কাজ করে।
খাবার খাওয়ার ক্রম
আপনি যা খাচ্ছেন শুধু তা নয়, কীভাবে খাচ্ছেন তাও আপনার শক্তির মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি যে ক্রমানুসারে আপনার খাবার খান তা এনার্জি ক্র্যাশ প্রতিরোধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। কীভাবে খাবারের ক্রম সাজাবেন তা জেনে নিন-
সালাদ দিয়ে শুরু করুন – আপনার খাবারের প্রথম অংশটি সালাদ হওয়া উচিত। শাক-সবজিতে থাকা ফাইবার শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেটের শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে যা খাবারের পরে আসতে পারে।
প্রোটিন – সালাদের পরে প্রোটিন খান। প্রোটিন দ্রুত পেট পূর্ণ করে এবং আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও স্থিতিশীল করে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করতে এবং আপনার শক্তির মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট দিয়ে শেষ করুন – যখন আপনি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করেন, তখন আপনার শরীর সালাদ এবং প্রোটিন থেকে পুষ্টি শোষণ করতে শুরু করে, যা কার্বোহাইড্রেটের গ্লাইসেমিক লোডকে হ্রাস করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রার তীব্র বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।
সহজ অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যকে অসংখ্য উপায়ে পরিবর্তন করতে পারে। এই সহজ কৌশলগুলো আপনাকে খাবারের পরে ক্র্যাশ এড়াতে এবং খাবার উপভোগ করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া এগুলো সর্বোচ্চ পুষ্টিও নিশ্চিত করবে। এমন অভ্যাস তৈরি করুন যা টেকসই এনার্জি এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।