জুমবাংলা ডেস্ক : ‘খাবার দেন, নয়তো লকডাউন তুলে নেন’, ‘ভ্যান চালানোর অনুমতি দেন, না হলে খাবার দেন’- ইত্যাদি নানা স্লোগান দিয়ে মাগুরায় জেলা প্রশাসক ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে শত শত ভ্যানচালক ও কর্মহীন পরিবারের নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার সকাল থেকে তারা দলে দলে সেখানে ভিড় করে তাদের দাবি জানান।
তাদের অভিযোগ, ১ জুলাই থেকে লকডাউন চলছে। বাইরে বের হলে আনসার-পুলিশ সবাই ধাওয়া করছে। কিন্তু খাবারের কোনো উপায় নেই। বাড়ির লোকেরা কাজ ছাড়া বসে আছে। ঘরে খাবার নেই কিন্তু এই কয়দিনে কেউ এক মুঠো চাল পর্যন্ত দেয়নি।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে বিক্ষোভরত ভ্যানচালকদের মধ্যে মিজান, গোলাম, খালেক, খোরশেদসহ অনেকে জানান, লকডাউন ঘোষণা করায় বড়লোকেরা বাড়িতে বসে খেতে পারবে। কিন্তু তাদের ঘরে কোনো খাবার মজুদ নেই। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই তারা ঘর থেকে বেরিয়ে ইউএনওর কাছে এসেছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে খাবার দেয়া সম্ভব নয়, বরাদ্দ পেলে দেয়া হবে বলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে সকাল থেকে মাগুরা শহরের রায়গ্রাম, বেলনগর, নিজনান্দুয়ালি, আঠারোখাদাসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশ’ নারী পুরুষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ত্রাণের জন্যে ভিড় করেন। কিন্তু কোনো ত্রাণ তো পাননি, উপরন্তু প্রশাসনের লোকদের দিয়ে ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
শাহেলা নামে এক গৃহবধূ বলেন, বাড়িতে খাবার নেই। ভোর সাড়ে ৫টায় না খেয়ে ডিসি অফিসের সামনে বসে আছি। কিন্তু এখন দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে।
জাহানারা নামে অপর এক গৃহবধূ বলেন, খাবার না দেয়, বাড়ির লোকদের কাজ করতে বাইরে যেতে দিক। একই রকম অভিযোগ আরও অনেকের।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম বলেন, ডিসি অফিস থেকে কোনো ত্রাণ দেয়া হচ্ছে না। ৩৩৩ নম্বরে কেউ কল করলে তাকে দেয়া হচ্ছে। তারপরও অ্যান্টি গভমেন্ট কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে ডিসি অফিসের সামনে ভিড় করিয়েছে। কেউ কেউ স্লিপ দিয়ে লোক পাঠাচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।