জুমবাংলা ডেস্ক: শুরু হয়েছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে শুরু হয় সূর্যগ্রহণ।
আইএসপিআর জানায়, সূর্যগ্রহণটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শেষ হবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও আংশিক দেখা যাবে বছরের শেষ এই সূর্যগ্রহণ। এ ছাড়া দেখা যাবে ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইনসহ এশিয়ার একাধিক দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে।
নিজ নিজ কক্ষপথে চলমান অবস্থায় পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে এক সরলরেখায় চাঁদ এসে গেলে চাঁদের ছায়া ঢেকে দেয় পৃথিবীর পৃষ্ঠ, কখনো পুরোটা, কখনো বা আংশিক। সৌরজগতের এই মহাজাগতিক ঘটনা সূর্যগ্রহণ হিসেবে পরিচিত। বছরের এই শেষ সূর্যগ্রহণ যখন ঘটবে তখন চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার কাল্পনিক সরলরেখা থেকে কিছুটা দূরে থাকবে। এ কারণে চাঁদের প্রচ্ছায়া পৃথিবীর ওপর এমনভাবে পড়বে যে এর ফলে সূর্যকে একটি বলয়ের মতো দেখাবে। তাই এমন গ্রহণকে বলয়গ্রাস গ্রহণ বলা হয়।
অনলাইনে দেখা যাচ্ছে
Slooh.com ওয়েবসাইট থেকে বৃহস্পতিবারের সূর্যগ্রহণ লাইভ স্ট্রিম করা হচ্ছে। প্রতি ১৮ মাসে একবার পৃথিবীর কোথাও না কোথাও থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
খালি চোখে দেখবেন না
মনে রাখবেন, খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখার চেষ্টা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি রেটিনার কোষ ধ্বংস করে দিতে পারে, কর্নিয়া পুড়িয়ে দিতে পারে। তাই খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।গ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে এক্লিপস ব্লাইন্ডনেস বা সোলার রেটিনোপ্যাথি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সূর্য যখন পুরোপুরি ঢাকা থাকে (পূর্ণগ্রহণ), তার চেয়ে যখন আংশিক ঢাকা থাকে অর্থাৎ আংশিক সূর্যগ্রহণকালে সূর্যের দিকে তাকালে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধী বিশেষ চশমা চোখে দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে। ছবি তুলতে হলেও ক্যামেরায় সোলার ফিল্টার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, অন্যথায় ক্যামেরার ক্ষতি হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।