জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে তার পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়াতে (রি-ইস্যু) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। ব্যাংকেও ফি জমা দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়।
তবে বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক (পাসপোর্ট ও ভিসা) সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের আবেদন অধিদফতরে পৌঁছেনি। আবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টর (এমআরপি) আবেদন জমা নেওয়া বন্ধ রয়েছে। ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা নেওয়া ও বিতরণ করা হচ্ছে। তবে ই-পাসপোর্ট পাওয়া প্রক্রিয়াগত কারণে সময়সাপেক্ষ। বিশেষ ধরনের এই পাসপোর্টে আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণির ছাপ নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এসব কার্যক্রম শেষ করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এজন্য তাকে এমআরপি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়েই কার্যক্রম শেষ করা যাবে।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় চিকিৎসা চলতে থাকে। আক্রান্তের ১৪ দিন পরও করোনা টেস্ট করা হলে ফল আবারও পজিটিভ আসে। এরপর কিছু পরীক্ষার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় পরীক্ষা করে বাসায় ফেরার পর দ্বিতীয় দফায় ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সোমবার (৩ মে) ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।