জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে কিশোর আবরার এর মৃতদেহ সাথে নিয়েই অনুষ্ঠানটির কনসার্ট চললো। কোন নামকরা লেখককে এই নিয়ে কলম তুলতে দেখলাম না। এমনকি ওই অনুষ্ঠানে যারা গান গাইলেন, তাদেরকেও দুঃখ প্রকাশ করে কোন স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। কিন্তু তারাওতো রক্ত মাংসের মানুষই ছিলেন। আমরা বুয়েটের আবরারকে নিয়ে অনেক দুঃখ প্রকাশ করেছি, বিচার চেয়েছি। দিনশেষে থেমেও গিয়েছি। কিন্তু কিশোর আবরারকে নিয়ে কেউ হয়তো তাই আর দু:খ ভারাক্রান্ত হতে চাচ্ছিনা।তার চেয়ে মিথিলা প্রসঙ্গটি আমাদের অনেকের কাছেই উত্তেজনাকর, হট এবং আনন্দের খোরাক। কারণ এখানে একান্ত ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত রয়েছে। আর কারো ব্যক্তিগত সম্পর্কে নাক গলানো আমাদের জন্য যতোটা পোড়া ঘায়ে মলম লাগানোর আরাম দেয়, অন্য কোন কিছুতেই হয়তো তা দেয়না।
মিথিলা প্রসঙ্গটি অনেককেই কিশোর আবরারের বিচার চাওয়া থেকে এক প্রকার রেহাই দিয়েছে। এতে বোঝা যায় খুনের চেয়ে নারীর শরীরের দায় দোষ অনেক বেশী।
তাছাড়া শক্তিধরদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে অনেকেই তাদের বিরাগ ভাজন হতে চাইবেন না। যাদের টাকা আছে তারা হয়তো পঞ্চাশ কোটি টাকা দিয়ে মামলা মিটিয়ে ফেলবেন।
কিশোর আবরারকে নিয়ে কেউ হয়তো কথা বলতে চাইবেন না। কারণ সে হলি আরটিজানে মেয়ে বান্ধবীকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিয়েছে , এমন কোন দাবী নেই। সে মেধাবী ছিলো এমন কথাও কেউ বলছেনা, বা সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, তাই সে ভালো ছিলো,বা আবরারের পরিবার আওয়ামীলীগ করতেন,তাই তার এভাবে মরে যাওয়া উচিৎ হয়নি এমনটাও কেউ মনে করছেন না।
কিশোর আবরার বিচার চাওয়ার জন্য আমাদের হাতে কোন যুক্তি নেই, কোন বোধ নেই, অনুপ্রেরণা নেই, জেগে ওঠা নেই !
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।