মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের সরকার প্রধানরা কর্মীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে একমত হন। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই বাংলাদেশি কর্মীরা কম খরচে মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন।
পূর্বে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ অব্যাহত থাকলেও উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ের কারণে সমালোচনা ছিল। নির্দিষ্ট সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও পূর্ববর্তী সরকার অধিক এজেন্সিকে সম্পৃক্ত করায় ব্যয় বেড়ে যায়। তবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানো কর্মীরা লাভজনক কর্মে নিযুক্ত হওয়ায় অভিযোগ ছিল না। বর্তমানে সেখানে ন্যূনতম বেতন ১,৭০০ রিঙ্গিত, যা মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
২০১৭-১৮ এবং ২০২২-২৪ মেয়াদে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন এবং সবাই নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। কিছু এজেন্সি মালিক অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করলেও তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এসব নেতিবাচক প্রচারণার কারণে মালয়েশিয়া নতুন কর্মী নিতে দ্বিধায় ছিল।
সৌদি আরবের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার হিসেবে মালয়েশিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী সেখানে কর্মরত আছেন এবং বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বৈঠকে কর্মীদের নিরাপত্তা, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভিসাপ্রাপ্ত প্রায় ৮,০০০ কর্মী, যারা নির্ধারিত সময়ে যেতে পারেননি, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।