লাইফস্টাইল ডেস্ক : চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত কোরবানীর পশু প্রস্তুত খুলনাতে। ফলে কমতে পারে দামও। উৎপাদন ও লালন-পালন ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারীরা। টানা তিন বছর মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে আবারও আসন্ন ঈদুল আযহা। এই ঈদে খুলনায় সোয়া পাঁচ হাজার খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ হাজার ১৯ হাজার পশু।
এবার পশুর চাহিদা রয়েছে অন্তত ৭৫ হাজার।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছর খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ৮ লাখ ৭৯ হাজার পশু কোরবানী হয়েছে। এবারও কাছাকাছি একই সংখ্যক পশু কোরবানিতে প্রয়োজন হবে।
প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, খুলনা জেলায় কোরবানীর জন্য প্রায় ৭৫ হাজার পশু প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৩৫ হাজার ৮৪৮টি, সাতক্ষীরায় ৫২ হাজার ৬২৯টি, যশোরে ৫৩ হাজার ৬৯৬টি, ঝিনাইদহে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৪১টি, মাগুরায় ৩১ হাজার ৯৯৭টি, নড়াইলে ২৮ হাজার ৬৬৩টি, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৭১টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২১৮টি, মেহেরপুরে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮৬টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা গেছে, খুলনার তেরখাদা, ফুলতলা, রূপসা, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়া উপজেলায় খামারের সংখ্যা বেশি। স্থানীয় হাটগুলোতে এরই মধ্যে গরু উঠতে শুরু করেছে। কোরবানিতে গরু বাজারজাত করে ভালো আয় করতে পারেন তাই এখনই প্রস্তুতি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ শামছুল আরফিন জানান, খুলনাতে কোরবানির উপযোগী প্রায় ২৪ হাজার গরু বা মহিষ এবং ৯৫ হাজার ৫৬৯টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। যা জেলার মোট চাহিদার চেয়ে ৪০ হাজার বেশি। তাই খুলনায় আসন্ন ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সংকটের সম্ভাবনা নেই।
ডুমুরিয়া উপজেলার বামনদিয়া গ্রামের খামারি আফসার শেখ জানান, হাটে নেয়ার আগে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে ষাঁড়গুলোর যতœ নিচ্ছি। ওষুধ না দিয়ে খাবারের মাধ্যমেই মোটাতাজা করা হয়েছে। আশা করছি ভালো দামেই বিক্রি করতে পারবো ষাঁড়।
অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রণজিতা চক্রবর্তী জানান, জেলার অভ্যন্তরে খামারীরা যে পশু উৎপাদন করেন তা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে পশু আনা হয়। মহানগরীর জোড়াগেট হাটসহ জেলায় অন্তত ২৫-২৬টি হাট বসবে। সেখানে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পশু আসবে। তখন কোরবানির জন্য পশুর সংকট থাকবে না।
তিনি আরও জানান, কোরবানির পশু যাতে রোগাক্রান্ত না হয়, সে জন্য মেডিকেল টিম কাজ করবে। এ ছাড়া বাজারে অথবা বিক্রয় কেন্দ্রে যে পশুটিই আসুক, সেটাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে সেটির রোগ আছে কি-না। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অফিস তৎপর এবং খামারীরাও সচেতন। ফলে এখন আর কোনো পশুর শরীরে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার হয় না।
যে কারণে চার সন্তানের বাবা হওয়া সত্বেও ‘বাবা’ ডাক থেকে বঞ্চিত মিঠুন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।