আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দূরপাল্লার মিসাইলের সাহায্যে খেরসন অঞ্চলকে রাশিয়া সেনার হাত থেকে মুক্ত করতে চাইছে ইউক্রেন। দাবি যুক্তরাজ্যের। খবর ডয়চে ভেলে’র।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, খেরসন অঞ্চলে ইউক্রেন পাল্টা লড়াই শুরু করেছে। যার জেরে প্রাথমিকভাবে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে রাশিয়ার সেনা। খেরসন শহর কার্যত রাশিয়ার সেনার হাতের বাইরে চলে গেছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কার্যত প্রথম দিন থেকে খেরসন অঞ্চল রাশিয়ার সেনার দখলে ছিল। সম্প্রতি দূরপাল্লার মিসাইলের সাহায্যে ইউক্রেনের সেনা খেরসন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নদী নিপ্রোর অন্তত তিনটি সেতু ধ্বংস করেছে। ওই ব্রিজের মাধ্যমে রাশিয়া খেরসনে সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাতো। অর্থাৎ, ওই সেতুই রাশিয়া এবং খেরসনের মধ্যবর্তী সংযোগ ছিল। সেতুগুলি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে রাশিয়ার সেনা ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে। আর সেই সুযোগেই খেরসন পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। যুক্তরাজ্যের দাবি, রাশিয়া কোনোভাবেই খেরসন হারাতে চায় না। ফলে ইউক্রেনের এই নতুন পদক্ষেপ রাশিয়াকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
সিরিয়ার জাহাজে চুরি করা খাদ্যশস্য
লেবাননের বন্দরে সিরিয়ার একটি জাহাজ এসে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে বৈরুতে ইউক্রেনের দূতাবাস। অভিযোগ, সিরিয়ার ওই জাহাজটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও জাহাজটিকে লেবানন তাদের দেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, তাদের দেশের শস্যভান্ডার থেকে বার্লি এবং যব চুরি করে জাহাজটি লেবাননে গিয়ে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে পাঁচ হাজার টন করে বার্লি এবং যব আছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ত্রিপোলি বন্দরে জাহাজটিকে দাঁড় করানো হয়েছে বলে লেবানন জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। ইউক্রেনের অভিযোগ, যুদ্ধের সুয়োগ নিয়ে রাশিয়ার মদতে সিরিয়ার ওই জাহাজটি খাদ্যশস্য চুরি করেছে।
অভিযুক্ত সাংবাদিক
রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনের এক সাবেক সাংবাদিককে ৫০ হাজার রুবল জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি দেশের সেনা বাহিনীকে অপমান করেছিলেন। মারিনা অবসিয়ানিকোভা প্রকাশ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করেছিলেন। সেনাবাহিনী অপরাধ করছে বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। গত মার্চ মাসে বুলেটিন পড়ার সময় তিনি হাতে একটি যুদ্ধবিরোধী পোস্টার ধরে রেখেছিলেন। সে সময়ই তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়।
এরপর কিছুদিনের জন্য দেশ থেকে চলে গেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।