বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : একটি আধা-চাঁদের খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আদতে এটি একটি বিশেষ ধরনের গ্রহাণু। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এই আধা উপগ্রহটি। আসলে এটি মহাকর্ষীয়ভাবে সূর্যের সঙ্গে আবদ্ধ। এর নাম 2023 FW13। সম্প্রতি এটি মহাকাশ উত্সাহীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্যান-স্টারস অবজারভেটরি প্রথম ২৮ মার্চ এই গ্রহাণুটির খোঁজ পায়। মাউনা কেয়া-তে কানাডা ফ্রান্স হাওয়াই টেলিস্কোপ, কিট পিক এবং মাউন্ট লেমনের অবজারভেটরি থেকে আরও বিস্তৃত পর্যবেক্ষণের পরে ১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই আবিষ্কারের বিষয়ে প্রকাশিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা হাওয়াইয়ের হালেকালা আগ্নেয়গিরির শীর্ষে প্যান-স্টারস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই পর্যবেক্ষণ করেন। এর মাধ্যমেই এই মহাকাশ শিলার আবিষ্কার করেন। এটিকে ‘আধা-চাঁদের তকমা দিয়েছেন তারা।
স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। অন্তত আরও ১ হাজার ৫০০ বছর ধরে এটি এভাবেই প্রদক্ষিণ চালিয়ে যাবে। যদি সমস্ত গণনা নির্ভুল হয় সেক্ষেত্রে 2023 FW13-ই সবচেয়ে স্থিতিশীল আধা-উপগ্রহ হিসাবে বিবেচিত হবে।
ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং সাংবাদিক আদ্রিয়েন কফিনেট বলেন, ‘আমি যখন প্রথম দেখলাম, তখনই পৃথিবীর মতো অর্ধ-প্রধান অক্ষ দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিল।’
আধা-চাঁদ বা এই ‘অর্ধ-উপগ্রহ’ এক জাতীয় উপগ্রহ। এটি চাঁদের মতো করেই আমাদের গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে। 2023 FW13-এর আবিষ্কার যদিও নতুন কিছু নয়। কারণ এর আগে ২০১৬ সালে 469219 Kamooalewa নামে আরও এক এহেন মহাজাগতিক বস্তু আবিষ্কৃত হয়েছিল। সেই সময়ে, এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম, নিকটতম এবং সবচেয়ে স্থিতিশীল আধা-উপগ্রহ হিসেবে বিবেচিত ছিল।
স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে স্পেস সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অ্যালান হ্যারিস জানিয়েছেন, 2023 FW13 প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীকেই প্রদক্ষিণ করে। কিন্তু তার লুপের মাত্রা (ব্যাসার্ধে প্রায় .18 জ্যোতির্বিজ্ঞানের একক) এতটাই বড় যে পৃথিবী এই আধা গ্রহাণুর গতিতে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।