দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় পর্বতমালার উপত্যকা থেকে মিলেছে নতুন কিছু জীবাশ্ম। নিলপেনা এডিয়াকারা ন্যাশনাল পার্কে পরিচালিত খনন কাজে এই জীবাশ্মগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এসব জীবাশ্মের মাধ্যমে বিভিন্ন যুগে পৃথিবীতে জীবনের বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারবেন তাঁরা।
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জীবাশ্মবিদ স্কট ইভান্সের নেতৃত্বে একদল গবেষক এসব জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা প্রায় ৫৫৫ মিলিয়ন বছর আগের একটি সামুদ্রিক প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন।
তাঁদের আশা, এই আবিষ্কার পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভবের রহস্য উন্মোচনে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। প্রাণীটির নাম দেওয়া হয়েছে কোয়েসটিও সিম্পসোনোরাম (Quaestio simpsonorum)। এই প্রাণীদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাম ও ডান দিকের প্রতিসাম্য বা দ্বিপার্শীয় প্রতিসমতা লক্ষ্য করা গেছে।
প্রাণীটির আকার হাতের তালু থেকে একটু ছোট। এর দেহের মাঝখানে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো আকৃতির অংশ রয়েছে, যা এদের দেহের বাঁ ও ডান দিককে দুই ভাগে ভাগ করে। গবেষকেরা বলেন, ‘জীবাশ্মটি অনন্য। কারণ এটি এমন একটি প্রাণীর, যে নিজে থেকে চলতে-ফিরতে পারত এবং এর শরীরের গঠন এত পরিষ্কারভাবে দেখা যায় যে অন্য কোনো জীবাশ্মে এরকম কিছু দেখা যায়নি।’
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, ‘সামুদ্রিক এই প্রাণীটি ছিল অনেকটা ‘রুম্বা ভ্যাকুয়াম’-এর মতো। সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে এটি ছোট ছোট শৈবাল, ব্যাকটিরিয়া এবং অন্যান্য সুক্ষ্ম জীব খেয়ে ফেলত। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইভোল্যুশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।