Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৮, আতঙ্কে শরণার্থীরা
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংবাদ স্লাইডার

গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৮, আতঙ্কে শরণার্থীরা

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কOctober 7, 20203 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক সপ্তাহে অন্তত আট জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ যৌথ অভিযান চালিয়েও সংঘর্ষ থামানো যাচ্ছে না৷ সাধারণ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি নাগরিকরা রয়েছেন আতঙ্কে৷ খবর ডয়চে ভেলের।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদকসহ নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করেই এই সংঘাত৷ এই গ্রুপগুলোর সঙ্গে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ থাকার দাবি করেছেন কেউ কেউ৷ এর পিছনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইন্ধন আছে এবং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার-এমন দাবিও করেছে একাধিক সূত্র৷

উখিয়ার কুপালং ক্যাম্প সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প৷ কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া- এই দুটি ক্যাম্প রেজিষ্টার্ড হলেও মোট ক্যাম্প ৩৪টি৷

চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বুধবার কুতুপালং থেকে বলেন, ‘‘এই সপ্তাহে মোট আট জন নিহত হয়েছেন৷ নিহতদের লাশ স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে আছে৷ ক্যাম্প এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে৷ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে৷ ক্যাম্পে গোলাগুলি বন্ধ হলেও পরিস্থিতি থমথমে৷’’

তিনি জানান, ‘‘এই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মুন্না ও সাদেক গ্রুপ নামে সন্ত্রাসীদের দুইটি বাহিনী আছে৷ তবে এখানে বিষয়টি হলো, মুন্না এবং অ্যান্টি মুন্না৷ তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ চলছে৷ সংঘর্ষের মূল কারণ ক্যাম্পের আধিপত্য৷ ক্যাম্পের আধিপত্য যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তারাই অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে৷’’

তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাম্পে দ্বন্দ্বের নানামুখী কারণ আছে৷ রেজিষ্টার্ড এবং নন-রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো৷ এছাড়া আরসারও প্রভাব আছে৷ আর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর পক্ষে কাজ করে এমন কয়েকটি গ্রুপও রয়েছে৷ তারা এখান থেকে তথ্য সরবরাহ করে৷ তারাও সশস্ত্র৷

জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক মাদক ব্যবসা অর্থের একটি বড় উৎস৷ মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ক্যাম্পে মজুত করে এখান থেকেই বন্টন করা হয়৷ এছাড়া ক্যাম্প এলাকা এবং আশপাশে অনেক দোকানপাট  থেকে চাঁদা আদায় হয়৷ আর রোহিঙ্গাদের পাওয়া উদ্বৃত্ত ত্রাণ সামগ্রীর বড় একটি মার্কেট আছে৷ ক্যাম্পের ভেতরে ৬-৭টি বাজার আছে৷ সেখান থেকেও অনেক অর্থ আদায় হয়৷

মুন্না অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা আর সাদেক নিবন্ধিত রোহিঙ্গা৷ সাদেকের সাথে আরসার যোগাযোগের অভিযোগ আছে৷ উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘এখন অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা অনেক বেশি৷ নিবন্ধিতরা আগে এসেছে এবং তারা সংখ্যায় কম৷ ফলে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে৷ আর এই আধিপত্য প্রয়োজন নানা উপায়ে অর্থ আয়ের জন্য৷’’ তার মতে, ‘‘গত চার বছরে যেসব রোহিঙ্গা এসেছে, তাদের মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ীও আছে৷ তারা ইয়াবা তৈরি করতে পারে৷ ক্যাম্পের ভেতরে তারা এ ধরনের কারখানা তৈরি করেছে বলে আমরা ধারণা করি৷ আবার কিছু রোহিঙ্গা আছে, যারা ক্যাম্পে থাকলেও নিয়মিত মিয়ানমারে আসা-যাওয়া করে৷ তারা অস্ত্র এবং ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত৷ গত একমাসে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে৷’’

গত ২ অক্টোবর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পালংখালিতে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব৷ সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ডগুলি এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়৷ এসব মজিদ ও রবি নামের দুই ব্যক্তিকে আটকও করা হয়৷ তাদের বাড়ি মহেষখালী এবং তারা অস্ত্র তৈরির কারিগর৷ র‌্যাব জানিয়েছে, ‘‘তারা অস্ত্র তৈরি করে রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করে আসছিলো৷’’

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবুল মোরশেদ খোকা দাবি করেন, ‘‘মিয়ানমার থেকেও মাদকের সাথে অস্ত্র আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে৷ আমাদের কাছে তথ্য আছে এই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চররাও সক্রিয় আছে৷ তারা অস্ত্র দিচ্ছে৷ তারা চায় এখানকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে৷ এখানে আরসাসহ আরো কিছু গ্রুপও সক্রিয় আছে৷ সব মিলিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি৷’’

তবে ডিআআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মিয়ানমার থেকে অস্ত্র আসে কিনা আমাদের জানা নেই৷ তবে সংঘর্ষে যারা লিপ্ত, তারা তো সশস্ত্র৷ তাছাড়া ক্যাম্পের মধ্যে মাদকের কারখানা আছে৷ ক্যাম্পে অনেক ঘটনা ঘটে যা জানা যায় না৷ সন্ত্রাসীদের কারণে তারা জানাতে সাহসও পায় না৷’’

হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা ক্যাস্প একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস৷ আর তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এই সংঘর্ষ৷ এর সঙ্গে জড়িত আছে এ দেশীয় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা৷’’

শুধু কুতুপালং কাম্পেই পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে৷ সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হওয়ায় সেখানকার কোনো ঘটনা অন্য ক্যাম্পেও প্রভাব ফেলে৷ সার্বিক পরিস্থিতি জানতে কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মুখপাত্র ইউনূস আরমানকে বার বর ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি৷

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
৮ আতঙ্কে এক ক্যাম্পে গত গ্রুপের চট্টগ্রাম দুই নিহত বিভাগীয় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সংঘর্ষে সপ্তাহে সংবাদ স্লাইডার
Related Posts
Fakhrul

মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে, দায় সরকারের : মির্জা ফখরুল

December 20, 2025
বিএনপি

ফখরুল-রিজভীর কর্মসূচি স্থগিত, রাতে বিএনপির জরুরি বৈঠক

December 20, 2025
হাদী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাদীর মৃত্যুতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট, গ্রেপ্তার যুবক

December 19, 2025
Latest News
Fakhrul

মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে, দায় সরকারের : মির্জা ফখরুল

বিএনপি

ফখরুল-রিজভীর কর্মসূচি স্থগিত, রাতে বিএনপির জরুরি বৈঠক

হাদী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাদীর মৃত্যুতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট, গ্রেপ্তার যুবক

Tarique Rahman

ট্রাভেল পাশ পেয়েছেন তারেক রহমান

Simanto

সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশি দুই তরুণকে গুলি করে হত্যা

ওসমান হাদি

ওসমান হাদির জানাজা কোথায় ও কখন

Hadi

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে, জানাজা শনিবার

BGB

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

সংসদ নির্বাচন

হাদি শহীদ হলেও সংসদ নির্বাচনে লড়বেন তার বোন

Osman

শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে শাহজালালে পৌঁছাল বিমান

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.