Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home গন্ধের পেছনে বিজ্ঞান: পারফিউম ও ঘ্রাণযুক্ত অণুর বৈচিত্র্য
    Nature বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    গন্ধের পেছনে বিজ্ঞান: পারফিউম ও ঘ্রাণযুক্ত অণুর বৈচিত্র্য

    Yousuf ParvezJanuary 1, 20255 Mins Read
    Advertisement

    ফুল, ফল, নানা ধরনের খাবার ও গায়ে মাখার সুগন্ধি—আমাদের জীবনে অনিবার্য। এই গন্ধ ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনাও করতে পারি না। চায়ের গন্ধ না পেলে কি পুরো স্বাদ পাওয়া যাবে? যাবে না। অথচ এই গন্ধ নিয়ে অনেক কিছুই আজও অজানা।

    গন্ধের পেছনে বিজ্ঞান

    গন্ধ ছাড়া কি জীবন ভাবা যায়? সংগীত ও রং ছাড়া যেমন আমাদের জীবন ভাবা যায় না, তেমনি প্রতিদিনের জীবনে গন্ধও অনিবার্য। সকালের চা, কফি কিংবা খাবার; উৎসব, এমনকি আমাদের প্রসাধনী, রোমান্স বা নানা রকম আচারের সঙ্গেও গন্ধ (Odor) জড়িয়ে আছে।

    আমরা কি ভেবেছি, ভিন্ন ভিন্ন এই গন্ধের উৎস কী? সুগন্ধ হোক বা দুর্গন্ধ—সবই আসে অণু থেকে। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই অণুগুলো হয় জৈব অণু বা যৌগ (Organic molecules)।

    চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মেশালে দারুণ একটা গন্ধ আসে কিংবা লবঙ্গ মেশালে। দারুচিনির বৈশিষ্ট‍্যপূর্ণ গন্ধ মূলত আসে সিনামালডিহাইড (cinnamaldehyde) নামের একটা অণু থেকে। বাজারের বিভিন্ন খাবার ও পানীয়তে দারুচিনি ব‍্যবহার না করে শুধু এই রাসায়নিক যৌগ ব‍্যবহার করেই দারুচিনির গন্ধ যুক্ত করা হয়।

    সংগীত সম্পর্কে যাঁদের সামান‍্য ধারণা আছে, তাঁরা নিশ্চয় জানেন, সংগীতে নোট বা স্বর ব‍্যবহার করা হয়। স্বর হলো মৌলিক বিষয়। একাধিক স্বর বা নোট মিলেও দারুণ সুর তৈরি হয়। গিটার বা পিয়োনোতে যেমন বলা হয় কর্ড। একটা কর্ড কয়েকটা নোটের সমন্বয়ে হয়। রঙের বেলাতেও কিন্তু তা–ই। দুটি রং মিশিয়ে আমরা ভিন্ন একটা রং পেয়ে যাই।

    গন্ধের বেলাতেও তেমনই। একটা ফুল বা মসলা থেকে যে সুবাস পাই, সেটা কিন্তু অনেকগুলো অণুর মিশ্রণের গন্ধ। হয়তো সে মিশ্রণে একটি-দুটি অণুর অনুপাত বেশি থাকে। কিন্তু সংগীতের কর্ডের মতোই, কয়েকটা অণুর সমন্বয়ে একটা চমৎকার গন্ধের সৃষ্টি হয়। এটাকে সুরের ঐকতানের সঙ্গে তুলনা করা যায়—সুবাসের ঐকতান (Symphony of odor)।

    মানুষ প্রকৃতি থেকে সুবাসের ঐকতান শিখেছে। প্রসাধনীর জগতে যত পারফিউম তৈরি করা হয়, সেগুলোতে একাধিক রাসায়নিক অণু ভিন্ন ভিন্ন অনুপাত ও ঘনত্বে ব‍্যবহার করা হয়। এভাবেই তৈরি করা হয় একটা সিগনেচার পারফিউম। যাঁরা এই কাজে পারদর্শী, তাঁদের বলা হয় মাস্টার পারফিউমার।

    সারা পৃথিবীতে পারফিউম, কসমেটিক, টয়লেট্রিজ ও খাদ্যশিল্পে অনেক সুগন্ধযুক্ত রাসায়নিক যৌগ ব‍্যবহার করা হয়। এসব যৌগ তৈরির জন‍্য বড় অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে রসায়নের অনেক গবেষকও (Fragrance chemist) কাজ করেন, গবেষণা করেন। নতুন নতুন যৌগ ডিজাইন ও তৈরি করেন। জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজার‍ল‍্যান্ড, চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র এই শিল্পের দুনিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করছে।

    একটা বস্তুর রং কেন লাল বা নীল হয়, তা আমরা জানি। কারণ, লাল বা নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ‍্য প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে। মস্তিষ্ক সেটা প্রক্রিয়াজাত করে ভিন্ন ভিন্ন রঙের অনুভূতি তৈরি করে। রং মূলত তরঙ্গদৈর্ঘ‍্যের ফলাফল। শব্দ বা সংগীতের বেলাতেও তা–ই। শব্দতরঙ্গের কম্পাঙ্কের ওপর ভিত্তি করেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন শব্দ পাই।

    মানুষ সব সময়ই ভেবেছে, গন্ধের অনুভূতি কী করে হয়? বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, রাসায়নিক অণু যখন আমাদের নাকের ভেতর রিসেপ্টরের (Olfactory receptor) সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন সেই কোষগুলো সক্রিয় বা অ্যাকটিভেট হয়। কোষ থেকে ইলেকট্রিক সিগন্যাল মস্তিষ্কে পৌঁছায়, আমরা গন্ধ অনুভব করি। এ–বিষয়ক কাজের জন‍্য বিজ্ঞানী লিন্ডা বাক ও রিচার্ড এক্সেল ২০০৪ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তবে এ–ও সত‍্য যে এ–সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে এখনো আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা নেই।

    পুরো বিষয় এত জটিল যে অনেক গবেষণা হওয়া সত্ত্বেও অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা আজও পাইনি। যেমন গন্ধের এই যে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি—কোনোটা ফুলের মতো, কোনোটা সেঁদো, কোনোটা ফলের মতো—এই অনুভূতির সৃষ্টি ও পার্থক‍্য কী করে হয়, তা নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা এখনো বিজ্ঞানীদের নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষ প্রায় এক ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন গন্ধ অনুভব করতে পারে। আর প্রায় ৪০ বিলিয়ন অণু গন্ধযুক্ত হতে পারে। বিষয়টা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, তবে এখনো অনেক ধাঁধা রয়ে গেছে।

    রাসায়নিক অণুর গঠনের কারণে গন্ধের ভিন্নতা হয়, তা আমরা জানি। কিন্তু রাসায়নিক অণু তো রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়। সেখান থেকে কী করে গন্ধের এই ভিন্নতা হয়, তা আমরা এখনো ভালো করে জানি না। আরেকটা জটিল বিষয় হলো, অনেক রাসায়নিক অণু গঠনে ভিন্ন হলেও গন্ধের অনুভূতি একই। এটা কেন হয়, সেটাও এক রহস‍্য।

    কস্তুরির কথা হয়তো অনেকে শুনেছেন। একটা বিশেষ প্রজাতির হরিণের শরীরে একটা গ্রন্থি থাকে, যেটাকে বলা হয় কস্তুর বা কস্তুরি (musk)। আর সেই গ্রন্থিতে থাকে একটা গন্ধযুক্ত রাসায়নিক যৌগ, মাসকন (muscon)। এসব যৌগকে মাস্ক যৌগও (Musk compound) বলা হয়।

    হরিণ মেরে কস্তুরি সংগ্রহ করা যেহেতু বাস্তবিক কাজ নয় (কারণ, একসময় সব হরিণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে), তাই ইউরোপীয় রসায়নবিজ্ঞানীরা এই যৌগের রাসায়নিক গঠন নির্ণয় করেছেন। তারপর সেই যৌগ গবেষণাগারে তৈরি করেছেন। এটাকে আমরা বলি সিনথেটিক কেমেস্ট্রি। রসায়নবিদেরা অনুরূপ আরও যৌগ তৈরি করেছেন, এমনকি গঠনে ভিন্ন অণু তৈরি করে দেখেছেন, কস্তুরির মতো গন্ধ পাওয়া যায়। পারফিউমশিল্পে এই মাস্ক যৌগগুলোর খুব চাহিদা।

    গন্ধ আমাদের স্মৃতির সঙ্গেও যুক্ত। একজন মানুষ তার মস্তিষ্কে নানা ধরনের গন্ধ সংগ্রহ করে রাখতে পারে। গন্ধ দিয়ে আমরা অনেক কিছু শনাক্ত করি। জীবজগতের অন‍্যান‍্য প্রাণীর মধ‍্যেও গন্ধ খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু পোকামাকড় ও প্রাণী বিভিন্ন গন্ধ নিঃসৃত করে বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করে।

    প্রাণীদের শরীর থেকে নিঃসৃত এই গন্ধযুক্ত যৌগকে আমরা বলি ফেরোমন (pheromone)। আবার ফুল, ফল, উদ্ভিদ থেকে যেসব গন্ধযুক্ত রাসায়নিক যৌগ পাই, সেগুলোকে বলা হয় নির্যাস তেল (Essential oil)। গন্ধযুক্ত অনেক রাসায়নিক যৌগ উদ্ভিদ তৈরি করে পোকামাকড় থেকে নিজেদের বাঁচাতে। প্রকৃতির আত্মরক্ষার কৌশল এটা। অনেক সময় বলা হয়, চালে যদি লবঙ্গ দিয়ে রাখা হয়, তাহলে চালে পোকা হয় না।

    কেন হয় না? কারণ, লবঙ্গের মধ‍্যে যে প্রধান রাসায়নিক যৌগ ইউগিনল থাকে, সেটা পোকামাকড়কে দূরে রাখে। মশার কামড় থেকে বাঁচার জন‍্য অনেকেই শরীরে বিভিন্ন তেল ব‍্যবহার করেন। সেসব তেল মূলত উদ্ভিদ থেকে সংগৃহীত সুগন্ধি—রাসায়নিক অণু। এসব অণু মশা-মাছিকে মারে না, কিন্তু দূরে রাখে। আবার এসব রাসায়নিক যৌগ শরীরে ব‍্যবহারের উপকারিতা হলো, আমাদের জন‍্য এগুলো ক্ষতিকর নয়। যেসব পোকামাকড়নাশক মশা-মাছিকে মারে, সেগুলো আমাদেরও কিছুটা ক্ষতি করে। ফলে ইনসেক্ট কিলারের চেয়ে ইনসেক্ট রিপিলেন্ট এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও nature অণুর গন্ধের গন্ধের পেছনে বিজ্ঞান ঘ্রাণযুক্ত পারফিউম পেছনে প্রযুক্তি বিজ্ঞান বৈচিত্র্য
    Related Posts
    Maximus

    Maximus ‍Smartphone : সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৫টি জনপ্রিয় মডেল

    October 22, 2025
    Symphony

    Symphony Smartphone : বাংলাদেশের ৫টি জনপ্রিয় মডেল

    October 22, 2025
    Biggani

    মুসলিম বিজ্ঞানী আল জাহরাউয়ি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন

    October 22, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Maximus

    Maximus ‍Smartphone : সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৫টি জনপ্রিয় মডেল

    Symphony

    Symphony Smartphone : বাংলাদেশের ৫টি জনপ্রিয় মডেল

    Biggani

    মুসলিম বিজ্ঞানী আল জাহরাউয়ি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন

    Realme NARZO N65 5G

    Realme NARZO N65 5G: 6GB RAM, 50MP ক্যামেরার সেরা স্মার্টফোন

    ইনস্টাগ্রাম কনটেন্ট

    ইনস্টাগ্রামে কিশোর-কিশোরীরা যে কনটেন্ট বেশি দেখে?

    Lava Bold 5G Phone

    Lava Bold 5G Phone : ভারতে সস্তায় শক্তিশালী ৫জি স্মার্টফোন

    ai

    এআই যে পেশা ছাড়া প্রায় সব দখল করে নেবে

    HMD 130 Music

    HMD 130 Music : সেরা সব ফিচার নিয়ে বাজার কাঁপাতে আসলো, দাম ও স্পেসিফিকেশন জানুন

    Top 10 Smartphones

    বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রি হওয়া ১০ স্মার্টফোন

    ইন্টারনেট স্পিড

    Smartphone-এর ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর সহজ উপায়

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.