সূর্যের চারপাশে নিজ অক্ষে প্রদক্ষিণ করে থাকে পৃথিবী। তবে সম্প্রতি পৃথিবী স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কাত হয়ে ঘুরছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, অত্যধিক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে পৃথিবী ৩১.৫ ইঞ্চি কাত হয়ে পড়েছে। পৃথিবী কাত হয়ে যাওয়ার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেতে পারে। গবেষণাটি জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীর কাত হয়ে হেলে পড়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির স্বাভাবিক উপস্থিতি ও অবস্থান বদলে গেছে। যে কারণে পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি বা প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার কাত হয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের পেছনে মানুষই দায়ী। গত কয়েক দশকে ভূগর্ভস্থ পানি তোলার হার বেড়েছে, এতেই কাত হয়ে গেছে পৃথিবী। অতিরিক্ত মাত্রায় পানি তোলার কারণে গ্রহের স্বাভাবিক ঘূর্ণনে পরিবর্তন আসছে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের স্বাভাবিক গতিতেও বাধা তৈরি হচ্ছে।
সিউল ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কি-ওয়েন সিও বলেন, ‘পৃথিবী যে অক্ষে ঘুরছে তা অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। আমাদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু-সম্পর্কিত কারণের মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলনের কারণে ঘূর্ণন অক্ষের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে। আবার পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় নদ-নদী ও সমুদ্রের মাধ্যমে পানি স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর প্রভাব পড়ে।
গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহ ও মেরু বরফ গলে যাওয়ার কারণে পানির বৈশ্বিক বণ্টনে পরিবর্তন দেখা যায়। বরফ গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পানি বিষুবরেখার দিকে প্রবাহিত হয়। তখন পৃথিবীর ভারসাম্যে পরিবর্তন আসে এবং অক্ষের ঘূর্ণনের ওপর প্রভাব তৈরি করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।