গরমে মানুষ শীতল এবং সতেজ থাকার জন্য প্রাকৃতিক উপায় খোঁজে। এসময় তরমুজ, শসা এবং ডাবের পানি জনপ্রিয় হলেও, আরেকটি ফল রয়েছে যা আপনাকে সতেজ ও শীতল রাখতে কাজ করে। বলছি তালশাঁসের কথা। মৌসুমী এই ফল কেবল সতেজই করে না সেইসঙ্গে আরও অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে। এটি দেখতে কিছুটা স্বচ্ছ জেলির মতো, মিষ্টি ও ঠান্ডা রসে ভরা। মূলত তাল কাঁচা অবস্থায় এর ভেতরে যে বীজ থাকে সেই নরম শাঁসই হলো তালশাঁস।
তালশাঁস যে কারণে উপকারী
তালশাঁস হলো পানি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা গ্রীষ্মকালে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলে ক্যালোরি কম থাকে এবং কোনো চর্বি থাকে না, যা শিশু এবং বয়স্কদের সহ সবার জন্য এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।
তালশাঁস পটাসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পেশীগুলোকে ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। আয়রন রক্তের সুস্থতা বজায় রাখে। ভিটামিন এ এবং সি ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলটি পেটের জন্যও কোমল। এটি হজমে সাহায্য করে এবং অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।
প্রাকৃতিক হাইড্রেশন
তালশাঁসের সবচেয়ে ভালো দিকগুলোর মধ্যে একটি হলো এর উচ্চ জলীয় উপাদান। প্রতিটি কামড় প্রাকৃতিক, মিষ্টি রসে পরিপূর্ণ যা ঘামের মাধ্যমে নষ্ট হওয়া তরলের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। যারা বাইরে বেশি সময় কাটান, খেলাধুলা করেন অথবা তাপ থেকে দ্রুত মুক্তি চান তাদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী।
তালশাঁস খাওয়া সহজ। বাইরের পাতলা খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ভেতরে নরম, জেলির মতো ফল উপভোগ করুন। এটি এমনিতেই খেতে সুস্বাদু। আবার চাইলে ফলের সালাদে যোগ করতে পারেন অথবা ঠান্ডা খাবারের জন্য স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি টাটকা এবং ঠান্ডা করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
ত্বকের জন্য ভালো
তালশাঁস ত্বকের জন্যও ভালো। এর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ত্বককে নরম এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু তালশাঁস হজম করা সহজ, তাই যাদের পেট সংবেদনশীল বা অসুস্থতা থেকে সেরে উঠছেন তাদের জন্যও এটি উপকারী। ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তালশাঁসের মতো উচ্চ পানির উপাদানযুক্ত ফল ডিহাইড্রেশন এবং তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর। এই গবেষণায় সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গ্রীষ্মকালে মৌসুমী, পানি-সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।