আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির বিষয়টি ‘পরিষ্কার করতে’ একটি ফতোয়ার সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে সুন্নি ইসলামি শিক্ষার প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ। তাতে বলা হয়েছে, কোরবানি ঈদুল আজহার অবিচ্ছেদ্য অংশ। গরিবদের অর্থদান করা কোরবানির বিকল্প হতে পারে না।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ঈদুল ফিতরের মতোই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ। এই ঈদে আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমানরা ইসলামি রীতি মোতাবেক হালাল পশু কোরবানি করে থাকেন।
এই মহামারির প্রেক্ষাপটে ভারতের হায়দরাবাদের মাদ্রাসা জামিয়ে নিজামিয়া সম্প্রতি ফতোয়া দেয়- ঈদুল আজহা তথা বকরা ঈদে কোরবানি দিতে না পারলে মুসলিমদের গরিবদের মাঝে টাকা দান করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই ফতোয়ার সমালোচনা করে বিষয়টি পরিষ্কার করতে উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তাতে বলা হয়েছে, কোনো মুসলিম যদি পশু কোরবানি না দিয়ে ঈদুল আজহায় পালন করলে তাহলে পবিত্র এই ধর্মীয় আচার ‘পরিত্যাগের’ জন্য তাকে দায়ী হতে হবে।
এ ব্যাপারে দেওবন্দের বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসার মুখপাত্র আশরাফ উসমানি বলেন, “ব্যাপারটি পরিষ্কার করা দরকার ছিল। ‘স্বল্প জ্ঞানের’ কিছু মানুষ এই বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল যে, পশু কোরবানি দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কোরবানি পশু কেনার অর্থ গরিবদের দান করে দিলেই যথেষ্ট।”
“কিন্তু ইসলাম কোরবানির কোনো বিকল্প দেয়নি। এটা এই ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টা বাড়িতে নামাজ পড়ে যেমন হজ আদায় হয় না অনেকটা তেমনই। উভয় ইবাদতের নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। কোরবানি ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় রীতি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।