আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাঁজা চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক উপকারী একটি গাছ। এর থেকে প্রাপ্ত একাধিক উপাদান থেকে তৈরি হয় নানা ওষুধ। এর গুণকীর্তন করেছেন অনেক কবি ও সাহিত্যিক। অথচ প্রাকৃতিক ও ভেষজ গুণসম্পন্ন এই গাছটি আমাদের কাছে কেবল ‘মাদকদ্রব্য’ হিসেবেই রয়ে গেছে।
সেই কথা মাথায় রেখেই এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে গত বছর গাঁজা চাষ ও ব্যবহারকে বৈধ ঘোষণা করে থাইল্যান্ড। তবে শুধুমাত্র চিকিৎসার উপকরণ হিসেবে সেবন করার অনুমতি দেয়া হলেও, গাঁজার বাণিজ্যিক ব্যবহারের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াও ছিল এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এরপর গত এক বছরে ‘গাঁজার স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড।
গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার ছিল। এর ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালেও। অথর্ববেদে একে বলা হয় ‘পাঁচটি পবিত্র গাছের একটি’। শিখ সেনাদল ও মুঘল রাজাদের প্রিয় ছিল এই গাঁজা। ছিল দক্ষিণ ভারতজুড়ে বিভিন্ন ধর্মের আধ্যাত্মিক চর্চার অংশ। শিবের অনুসারীরা ধূমপানে গাঁজা ব্যবহার করে থাকেন তাদের প্রিয় দেবতার অনুকরণে। আবার সুফিবাদের অনুসারীদের কাছেও এটি ঐশ্বরিক সংযোগ স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
আজকের দিনে সহজেই খোঁজ মেলে ভাঙ রেসিপির। গাঁজা গাছের পাতা দিয়ে তৈরি এই পানীয় বৈধ তো অবশ্যই, অনেক সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্যও বটে। কিন্তু এরপরও ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে দক্ষিণ এশিয়ায় গাঁজার প্রতি আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে। এই অঞ্চলের দেশে দেশে এর ওপর নেমে আসে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। সেই একই পথে হেঁটেছে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চল।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন ছিল একটি প্রচলিত রীতি। কিন্তু ১৯৭৯ সালে দেশটিতে গাঁজা সেবন, পরিবহন কিংবা বাজারজাত করার বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই আইন অনুযায়ী, ওই সময় গাঁজা উৎপাদন বা পরিবহন দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হতো এবং দায়ী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাভোগ কিংবা ৪০ হাজার ৫০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতো।
গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
প্রায় ৩৯ বছর পর ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য গাঁজা মজুত রাখার বিষয়টিকে আইনি স্বীকৃতি দেয় থাইল্যান্ড। কেননা, গাঁজা চাষ বৈধ না হওয়ায় দেশটিতে দিন দিন অবৈধ উপায়ে গাঁজা আমদানি বাড়ছিল। সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণেই এবার এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
এরপর গত বছরের (২০২২) জুনে এক সরকারি নির্দেশনায় গাঁজার ওপর থাকা প্রায় সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। গাঁজা চাষ, উৎপাদন ও ব্যবহার বৈধ করে দেয়া হয়। মাদকদ্রব্যের তালিকা থেকেও কেটে দেয়া হয় গাঁজার নাম।
নির্দেশনায় বলা হয়, চাইলে দেশটির নাগরিকরা বাড়িতে গাঁজার চাষ করতে পারবেন। উৎপন্ন গাঁজা বিক্রিও করতে পারবেন বাজারে। শুধু তাই নয়, থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বৈধভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের মধ্যে ১০ লাখ গাঁজা গাছের চারা বিতরণ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
তবে চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কারণে গাঁজা ব্যবহার করা হলে তা আইনত অপরাধ হিসাবেই গণ্য হবে বলে জানানো হয়। কাজেই নেশা করার জন্য গাঁজা বা গঞ্জিকাসেবন করলে হতে পারে সাজা। তিন মাসের জেল ও ৬০ হাজার টাকারও বেশি জরিমানা।
সে সময় থাইল্যান্ডে গাঁজা বৈধকরণের অন্যতম বড় সমর্থক সেনাসমর্থিত ভূমজাইথাই পার্টির নেতা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল। গাঁজার ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গাঁজা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, আমাদের সবার সেটা জানা উচিত। আমরা যদি এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে গাঁজা অর্থনৈতিকভাবে আরেক স্বর্ণের মতো মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিনের এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়, গাঁজাকে থাইল্যান্ডের একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে প্রচারের জন্যই সবশেষ এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাই সরকার। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও আবহাওয়ার কারণে থাইল্যান্ড গাঁজা চাষের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শ্রমশক্তি কৃষি কাজে নিয়োজিত। সহজে উৎপাদনযোগ্য গাঁজা চিকিৎসা খাতে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদানের পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করে, এমনটি কনে করে দেশটির সরকার।
গাঁজার উৎপাদন ও ব্যবহারে বিপ্লব
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সবচেয়ে ব্যস্ত রাস্তা সুকুমভিট রোড। গত বছর থেকেই শহরের নিয়ন সাইনগুলোর মধ্যে নতুন একটি প্রতীক দেখা যেতে শুরু করে। সবুজ গাঁজা পাতার সেই উজ্জল ছবি দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারে, গত জুন মাসে গাঁজা বৈধ করার পর থেকে এ সম্পর্কিত নানা ব্যবসার বিস্তার শুরু হয়েছে।
ব্যাংককের ওই সুকুমভিট রোডেই অন্তত ৪০টির বেশি ওষুধের দোকান পাওয়া যাবে যারা শক্তিশালী গাঁজা ফুলের কুঁড়ি ও সেগুলো ধূমপানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিক্রি করে। এর ঠিক বিপরীত দিকে ব্যাকপ্যাকার ভ্রমণকারীদের প্রিয় জায়গা খাও স্যান রোডে গাঁজা কেন্দ্র করে পুরো একটা শপিং মল তৈরি হয়েছে। প্ল্যান্টোপিয়া নামের ওই মার্কেটের দোকানপাট ধোয়ায় অর্ধেক আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। কারণ অনেকেই গাঁজা কিনে সেখানেই যাচাই করে দেখছেন।
থাইল্যান্ডের ওয়েড ওয়েবসাইটে চার হাজারের বেশি ব্যবসায়ী তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা এবং এ থেকে তৈরি নানারকম পণ্য বিক্রি করেন। অথচ গত বছরের জুন মাসের আগে পর্যন্ত থাইল্যান্ডে গাঁজা ছিল অবৈধ। কারও কাছে গাঁজা পাওয়া গেলে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড এবং কেউ গাঁজা উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকলে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আইন ছিল।
‘অগোছালো হলেও এটাই থাইল্যান্ড। আকস্মিকভাবে এই উদারতার ঘটনা না ঘটলে মনে হয় না এরকম ব্যাপক বিস্তারের ঘটনা ঘটত,’ সম্প্রতি বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলছিলেন এলিভেটেড এস্টেটের প্রতিষ্ঠাতা কিটি চোপাকা। এই কোম্পানি গাঁজা শিল্পের নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। সংসদীয় কমিটির সাথে মিলে তারা গাঁজা সংক্রান্ত নতুন বিধিবিধান তৈরির কাজে সহায়তা করছে।
ব্যাংককে এখন এমন রেস্তোরাও আছে, যেখানে গাঁজা দিয়ে তৈরি নানারকম খাবার বিক্রি করা হয়। সেখানে গাঁজার চা এবং গাঁজার আইসক্রীমও পাওয়া যায়। কিছু কিছু দোকান একনকি গাঁজাযুক্ত খাবার পানিও বিক্রি করছে।
লাভজনক বিকল্প অর্থকরী ফসল
অনেকে মনে করেন, গাঁজা দরিদ্র কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক বিকল্প অর্থকরী ফসল হতে পারে। নতুন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে অনুতিন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য নিষিদ্ধ মাদক তালিকা থেকে গাঁজাকে সরিয়ে নেয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।
কিন্তু নানারকম স্বার্থবাদী গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের কার্যক্রম বেশ ধীর গতির। নতুন ব্যবসা সংক্রান্ত বিধিবিধান তৈরি হওয়ার আগেই গাঁজাকে মাদক তালিকা থেকে বের করে আনা হয়েছিল। কিন্তু দলগুলোর দ্বন্দ্বে নতুন নিয়মকানুন তৈরির কাজটি আটকে যায়।
সামনের মে মাসে যেহেতু আরেকটি সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার আগে সংসদে এই সংক্রান্ত আইন পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এর মধ্যেই বিরোধী দলগুলো অনিয়ন্ত্রিত গাঁজার ব্যবহারের বিপদ নিয়ে সতর্কবাণী দিচ্ছে। তারা ঘোষণা দিয়েছে, বিজয়ী হলে এটাকে পুনরায় অপরাধের তালিকায় নিয়ে আসা হবে। ফলে গাঁজা শিল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
একুশ বছর বয়সি তুকতা গত বছর থেকে গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী গত এক বছরে ওষুধের দোকান এবং হার্ব ক্লাব নামের কফিশপে ৩০ হাজার ডলার বেশি মূল্যের গাঁজা বিক্রি করেছেন। তিনি ১৬ রকম মানের গাঁজা বিক্রি করে থাকেন। প্রতি গ্রাম বিক্রি হয় ১০ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে। ভবিষ্যতে আইনের সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে তুকতা এর মধ্যেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
তুকতা বলেন, ‘গাঁজার দাম কমছে। কারণ এখানে অনেক গাঁজার সরবরাহ হচ্ছে। অনেক অবৈধ আমদানি হচ্ছে। এখন আমাদের বিদেশ থেকে গাঁজার চারা আনতে হচ্ছে, যার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও আলোর প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের উচিৎ এমন বীজ তৈরির দিকে নজর দেয়া, যা আমাদের জলবায়ুর জন্য কাজ করে এবং খরচ কম হয়।’
তরুণ এই গাঁজা ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আমাদের পুরানো ঐতিহ্য, আমাদের পুরানো সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে। কারণ গাঁজা এবং থাইল্যান্ড- একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।’ গাঁজার এরকম নাটকীয়ভাবে ফুলেফেঁপে ওঠা ব্যবসার বিষয়টি অনেক নাগরিকের কাছে বিস্ময়কর। কারণ তারা বরাবরই সবধরনের মাদকদ্রব্যকে বিপজ্জনক সামাজিক ক্ষতিকর হিসেবে দেখে আসছে।
গাঁজা ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’
উত্তর থাইল্যান্ডের পাহাড়ি উপজাতিগুলোর এলাকায় ১৯৭০ এর শেষভাগ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে গাঁজার চাষ করা হত। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদনের এলাকা গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের কাছাকাছি ওই এলাকা। উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে ভেষজ এবং রান্নার উপাদান হিসেবেও গাঁজা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা ১৯৬০-এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছানোর পর তারা থাই স্টিক আবিষ্কার করে। সেটা ছিল স্থানীয়ভাবে মোটা সিগারের মতো বাঁশের লাঠির চারপাশে পাতায় মোড়ানো গাঁজার কুঁড়ি থেকে তৈরি করা। মার্কিন সৈন্যরা প্রচুর পরিমাণে থাই গাঁজা দেশে পাঠাতে শুরু করে।
সেই সঙ্গে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল থেকে হেরোইনও যেতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে। ভিয়েতনামে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মাদক উৎপাদন রোধ করার জন্য থাইল্যান্ডের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৯ সালে থাইল্যান্ড মাদকবিরোধী আইন পাস করে, যেখানে মাদকের ব্যবহার ও বিক্রির জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়।
১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাদক ও যৌনতার প্রতি যে রক্ষণশীল মনোভাব তৈরি হয়েছিল, থাইল্যান্ডেও সেই প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করে। সেই সময় থাইল্যান্ডে রাজকীয় খরচে কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়, যাতে পাহাড়ি উপজাতি গোষ্ঠীগুলো আফিম ও গাঁজা চাষ বন্ধ করে কফি বা বাদামের চাষাবাদ করে।
নব্বইয়ের দশক থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলো থেকে থাইল্যান্ডে সস্তা মেথামফেটামাইন আসতে শুরু করে। এতে আসক্তির ধ্বংসাত্মক সামাজিক প্রভাব দেখে থাই জনগণ মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হয়ে ওঠে। এরপর ২০০৩ সালে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর এক অভিযান শুরু করা হয়। সেই অভিযানে অন্তত ১ হাজার ৪০০ মাদক বিক্রেতা ও ব্যবহারকারী নিহত হয়।
তখন থাইল্যান্ডের কারাগারে যতো কারাবন্দি ছিল, তার তিন-চতুর্থাংশ মাদকজনিত অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিল। এর ফলে থাই কর্মকর্তারা তাদের কঠোর নীতি পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেন। তারা ভাবতে শুরু করেন যে, থাইল্যান্ডের চিকিৎসা পর্যটন খাতে গাঁজা ওষুধ এবং থেরাপির জন্য মূল্যবান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। সেই সঙ্গে বিনোদনের কাজেও গাঁজার ব্যবহার হতে পারে।
এরকমই একজন হচ্ছেন থাই উদ্যোক্তা টম ক্রসোপন। গাঁজাকে বৈধতা দেয়ার পেছনে তার ভূমিকার জন্য তিনি মি. উইড বা মি. গাজা নামেও পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি ব্যাংককে মার্কিন গাঁজার দোকান কুকিজের একটি শাখা খুলেছেন। তিনি স্থানীয় গাঁজা দিয়ে তৈরি নানা জিনিসপত্র তৈরি করেন, যার মধ্যে গাঁজার থিমযু্ক্ত অন্তর্বাস, স্যান্ডেল এবং টি-শার্টও রয়েছে।
যে পর্যটকরা ব্যাংককের হিলটন হোটেলে থাকা পশ্চিমাদের কাছে থাইল্যান্ডের বর্ণনা শুনেছেন, তাদের কাছে ব্যাংককের এই নতুন চেহারা অবাক করে দেয়ার মতোই। ক্রসোপন তাদের আশ্বস্ত করে বলছেন যে, থাইল্যান্ডে গাঁজা কেনা বা সেবন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
এই ব্যবসা আরও বড় হবে বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, এখানে কয়েক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি তৈরি হবে।’ তবে তিনি স্বীকার করে বলেন, ‘এজন্য আরও ভালো নিয়মকানুন তৈরি হওয়া দরকার। অন্যথায় আপনি সোনার ডিম পাড়া হাঁসটিকে হত্যা করে ফেলবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।